আয়াছ রনি: [২] কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের পাহাড় গুলোতে রোহিঙ্গা শিবির গড়ে উঠাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্বিম পাশের গহীন পাহাড়ে ঢেঁড়া গড়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা,আল ইয়াকিন সহ বহু সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আস্তানা।
[৩] বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপহরণের ঘটনা ঘটে। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধারও করেন। অপহৃতরা বেশির ভাগই উদ্ধার হচ্ছে ক্যাম্পের পাশের গহীন পাহাড় থেকে।
[৪] কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন সূত্রে জানা যায়, টেকনাফের উনচিপ্রাং ২২ নং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা ভলান্টিয়ার মো. আব্দুল্লাহকে (২৪) সোমবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে স্থানীয় শাহ আলমসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন দুষ্কৃতকারীরা অপহরণ করে। সংবাদ পেয়ে উনচিপ্রাং এপিবিএন ক্যাম্পের অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে কয়েকটি টিম গঠন করে সম্ভাব্য সকল স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে ভিকটিম আবদুল্লাহকে ডি ব্লক সংলগ্ন পাহাড় থেকে উদ্ধার করে। পরে তাকে এমএসএফ হাসপাতাল হতে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। সে ক্যাম্প-২২ (উনচিপ্রাং) ব্লক-ডি/৪, ঘর-১৪৮ এর আলী জোহারের ছেলে।
[৫] এছাড়া, গত সোমবার সন্ধ্যায় টেকনাফের লেদা ২৪ নং ক্যাম্পের এ-১৩ ব্লকের জামালের মুদি দোকানের সামনে হতে রোহিঙ্গা যুবক একরামকে (২২) ৪-৫ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী অস্ত্র দেখিয়ে জোরপূর্বক অপহরণ করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। লেদা এপিবিএন ক্যাম্প অপহরণকৃত রোহিঙ্গা শরনার্থীকে উদ্ধারের জন্য ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে। পরে মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে পাহাড়ের পাদদেশ হতে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। সে লেদা ক্যাম্পের নতুন ব্লক এ-৫ মৃত বশরের ছেলে।
[৬] উদ্ধারকৃতদের ক্যাম্পের ব্লক মাঝির মাধ্যমে পরিবারের নিকট বুঝিয়ে দেয় আইন-শৃক্সখলা বাহিনী। এ দুটি অপহরণ পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা ছিল ক্যাম্পের পাশের পাহাড়কে ঘিরে এবং সফলও হয় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা।
[৭] কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক জানান, অপহরণকারী চক্র রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের পাহাড়ে আস্তানা গেড়ে বসেছে। কোন অপরাধ সংগঠিত করেই সন্ত্রাসীরা ওখানে সটকে পড়ে। অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযানসহ গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি