আরমান কবীর: [২] টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় এক কিশোরীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া একই স্থান থেকে গলাকাটা অবস্থায় আহত এক কিশোরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
[৩] বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে এলেঙ্গা পৌরসভার শামসুল হক কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
[৪] নিহত ওই কিশোরীর নাম ছুমাইয়া আক্তার (১৬)। সে কালিহাতী উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসুর রহমানের মেয়ে। এলেঙ্গা পৌরসভার রিসোর্ট এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারসহ বসবাস করতেন সে। সে এলেঙ্গা রানী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। আহত ওই কিশোরের নাম মনির হোসেন (১৭)। সে এলেঙ্গা পৌর এলাকার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। তিনি বাস চালকের সহকারী।
[৫] নিহত কিশোরীর বাবা ফেরদৌসুর রহমান বলেন, সকাল ৬টায় তার মেয়ে প্রাইম একাডেমিতে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সকাল ৮ টায় স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পান যে তার মেয়েকে (ছুমাইয়া) কে বা কারা জবাই করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছে। তবে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ছেলেটিকে তিনি চেনেন না বলে জানান।
[৬] আহত মনিরের খালা রোজিনা বেগম বলেন, মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাতে বাড়ি থেকে মনির বের হয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে স্থানীয় লোকজনদের কাছে খবর পেয়ে মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে তার সঙ্গে যে মেয়েটিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে তাকে তিনি চেনেন না।
[৭] কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন শামসুল হক কলেজের সামনে গলাকাটা এক কিশোরী ও এক কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই কিশোর জীবিত ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত ওই কিশোরের ঘাড়সহ বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রেমঘটিত কোনো কারণে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্পাদনা: হ্যাপি