রিয়াজুর রহমান: [২] এসএ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পৃষ্ঠপোষকতায় সপ্তাহজুড়ে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে নিবন্ধিত খেলোয়াড়দের।
[৩] ইতিমধ্যে বিকেএসপির স্কোয়াশ বিভাগের ৬ শিক্ষার্থী আগ্রহী ২৪ জন খেলোয়াড় নাম নিবন্ধন করেছেন। উদ্যোক্তাদের আশা এ সংখ্যা শিগগির ৩০ জনে উন্নীত হবে।
[৪] মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম ক্লাবের স্কোয়াশ কোর্টে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এসএ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাজ্জাদ আরেফিন আলম।
[৫] তিনি বলেন, কর্মসংস্থান, সামাজিক ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে এসএ গ্রুপ অবদান রাখার চেষ্টা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় স্কোয়াশের উন্নয়নে বিদেশি কোচ আনা। এসএ গ্রুপের ‘মুসকান ড্রিংকিং ওয়াটার’ স্কোয়াশ প্রশিক্ষণের সম্পূর্ণ প্রোগ্রামে বেভারেজ পার্টনার।
[৬] জেলা পর্যায়ে এ খেলা শুরু করতে চাই। প্লেয়ার সিলেক্ট করতে চাই। দেশের জন্য সম্মান আনতে চাই। স্কোয়াশের প্রচারে মিডিয়ার সহযোগিতা চাই।
[৭] সংবাদ সম্মেলনে ইরানি কোচ গোলামনিজাদ জাবিদ মহসিনকে পরিচয় করিয়ে দেন বাংলাদেশ স্কোয়াশ রেকেটস ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিএম কামরুল ইসলাম।
[৮] জিএম কামরুল ইসলাম বলেন, খেলাধুলা জাতি গঠনে, জাতির সম্মান ও গৌরব বাড়াতে সবচেয়ে বড় মাধ্যম। একজন ভালো খেলোয়াড় দেশের মুখ উজ্জ্বল করে। সবার কোনো না কোনো খেলা করা উচিত। স্কোয়াশ নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। দেশে স্কোয়াশ খুব ভালো অবস্থায় নেই। এক বছর আগে মাইনাসে ছিলাম। আমরা আর নিচে যেতে চাই না। এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ভালো খেলোয়াড়, প্রশিক্ষণ ও দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য বিদেশি কোচ এনেছি। আপনারা জানেন, স্কোয়াশ বিশ্বে ক্রীড়া অর্থনীতির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে। এসএ গ্রুপ আমাদের উদ্যোগ স্পন্সর করেছে, আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই।
[৯] কোচ গোলামনিজাদ জাবিদ মহসিন বলেন, আমি চট্টগ্রামে এসে অভিভূত। প্রশিক্ষণে আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। চট্টগ্রাম ক্লাবের মেম্বার ইনচার্জ (স্কোয়াশ) ইমতিয়াজ হাবীব রনি বলেন, চট্টগ্রাম স্কোয়াশে কিছুটা পিছিয়ে আছে। প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশি কোচ আনা হয়েছে এটি আমাদের জন্য আনন্দের। চট্টগ্রামের প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকায় প্রশিক্ষণ শুরু হবে। প্রায় দেড় মাস কোচ গোলামনিজাদ জাবিদ মহসিন বাংলাদেশে থাকবেন।