মাজহারুল ইসলাম: [২] যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ মারিব অঞ্চলে ওই হামলায় বিদ্রোহীগোষ্ঠী হুথিদের এই প্রাণহানি ঘটেছে বলে রোববার সৌদি জোটের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এএফপি
[৩] সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সি (এসপিএ) বলছে, মারিবের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণের আল-জাওবা এবং আল-কাসসারার ৩০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে হামলায় বিদ্রোহীদের ৩৬টি সামরিক যানবাহন ধ্বংস এবং ২৬৪ জনের বেশি হুথি সদস্য নিহত হয়েছেন। ঢাকা পোস্ট
[৪] চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে একবার মারিব দখলে অভিযান চালিয়েছিল হুথিরা, কিন্তু সেবার বিপুলসংখ্যক যোদ্ধার প্রাণহানি হওয়ায় কয়েক মাস স্থগিত ছিল তাদের সেই দখল অভিযান। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনের পূর্বাঞ্চলের মারিব প্রদেশ হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
[৫] সৌদি জোট বলছে, হুথিদের দখলে যাওয়ার পর থেকে এই প্রদেশে বেসামরিক নাগরিকদের চলাচল এবং মানবিক ত্রাণ সহায়তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
[৬] ২০১৫ সালের শুরুতে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
[৭] অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।
আপনার মতামত লিখুন :