আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ-তে ফাস্টক্লাশ পেয়েও চাকুরী না পেয়ে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বাবার ব্যবসার হাল ধরে মাছ মুরগীর চাষ করে ব্যপক সফলতা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ার প্রতিবন্ধী এক যুবকসহ আপন ৩ ভাই। গড়ে তুলেছে কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০টি মাছের ঘের ও মুরগির খামার। সেখানে চাকুরী দিয়েছেন ৩০ থেকে ৩৫ জন বেকার মানুষকে। তাদের মাধ্যমে জিবীকা ধারন করছেন এলাকার দেড় থেকে দুই শতাধিক মানুষ।
[৩] গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার পিনজুরি ইউনিয়নের বালিয়াভাংগা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আতিয়ার রহমানের ৩ ছেলের মধ্যে (প্রতিবন্ধী) যুবক তাহহিদুল ইসলাম বিপ্লব বড়। মেঝ ছেলে তানজির আহম্মেদ নয়ন কোটালীপাড়া শেখ লুৎফার রহমান ডিগ্রী কলেজ সংসদের এজিএস এবং ছোট ছেলে নোমান একই কলেজ থেকে ডিগ্রী পাশ করেছে।
[৪] জেলা ভিত্তিক মাছ চাষে স্বর্নপদকপ্রাপ্ত আতিয়ার রহমানের বড় ছেলে তাহহিদুল ইসলাম বিপ্লব (প্রতিবন্ধী) ২০১১সালে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্সে ফাষ্টক্লাশ পেয়েও চাকুরী না পেয়ে। মাত্র ২০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ছোট দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে পৈত্রিক পেশা মাছ ও মুরগীর চাষ শুরু করে। কঠোর পরিশ্রম করে কোটালীপাড়া উপজেলার কাজুলিয়া ও পিনজুরি এলাকাসহ নানান জায়গায় বেশ কয়েক হাজার জমির উপর একে একে ৬০ থেকে ৭০টি মাছের ঘের ও মুরগির খামার গড়ে তুলেছে। তাদের মাছের ঘের ও মুরগীর খামারে কমপক্ষে এক থেকে দেড়কোটি টাকার নানান প্রজাতির মাছ মুরগী রয়েছে। নানান জাতের ১০ থেকে পনোরো হাজার মুরগীর মধ্যে বতমানে, ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার মুরগী প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ হাজার ডিম দিচ্ছে! তাদের মাছের ঘের ও মুরগির খামারে বর্তমান ৩০ থেকে ৩৫ জন শ্রমীক কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এছাড়া প্রতিটি ঘেরপাড়ে রয়েছে আম গাছ, নারিকেল গাছ, পেপে গাছ, পেয়ারা গাছ, শুপারী গাছসহ নানান প্রজাতির কয়েক হাজার গাছ।
[৫] কিন্ত, গত ৩দিনের টানা বর্ষণ ছাড়াও এর আগে কয়েক দফা বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে ঘেরের পাড় ভেংগে বেশ কয়েক হাজার মাছ মুরগি ভেসে যাওয়ায় কমপক্ষে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বতমানে তাদের মুরগীর খামার ও মাছের ঘের থেকে যে ডিম ও মাছ উৎপাদিত হচ্ছে তা বিক্রী করে ৩০/৩৫ জন কর্মচারীর বেতন, মাছ মুরগীর খাবার ও ব্যাংক থেকে আনা লোন পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কোটালীপাড়া থেকে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য দেশের প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি তাদের যে কোনো উপায়ে আর্থিকভাবে সহায়তা করেন তাহলে আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তারা। সুযোগ পেলে প্রতিবন্ধীরাও সাধারন মানুষের চেয়ে ভালো কিছু করে সমাজকে বদলে দিতে পারে।
[৬] প্রতিবন্ধী যুবকসহ শিক্ষিত ৩ ভাই বিশ্বাস করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বিষয়টি জানতে পারলে তিনি অবস্যই তাদের বিষয়টি অবস্যই বিবেচনা করবেন। কারন, তিনি গোটা দেশের মা আমাদেরও মা।
আপনার মতামত লিখুন :