জাহিদুল কবীর: [২] যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের গাজির বাজার এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে রোহান (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্র নিহত ও দুই জন আহত হয়েছে। নিহত রোহান শহরের খড়কি এলাকার নুর ইসলামের ছেলে।
[৩] আহতরা যশোর সদরের চাঁচড়া এলাকার সাহাঙ্গীরের ছেলে প্লাবন (১৭) ও ঝিনাইদহ সদরের হাটগোপালপুর এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে রাসিবকে (১৭) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ও নিহতরা সম্পর্কে মামা ভাগ্নে।
[৪] প্রত্যক্ষদর্শী জাহিদ হোসেন জানান, রোহান তার ভাগ্নেদের সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে চাঁচড়া বাজারে যাচ্ছিলো। এক পর্যায়ে তারা ফিডার রোড থেকে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে ওঠে। এসময় ঝিনাইদহগামী একটি ট্রাক মুখোমুখি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রোহান। আহত দুজনকে উদ্ধার করে দ্রুত যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
[৫] যশোর সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সালাহউদ্দিন স্বপন জানান, আহতদের মধ্যে প্লাবনের অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনায় রেফার্ড করা হয়েছে। তবে আহত রাসিব আশংকামুক্ত।
[৬] নিহত রোহানের ভাই অসীম জানান, ঝিনাইদহ থেকে ভাগ্নে রাসিব বেড়াতে আসে। বেলা পোনে তিনটার দিকে মামা-ভাগ্নে মিলে ঘুরতে বের হয়। এরপর পরই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
[৭] এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার একই এলাকায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন যশোর সদরের নরেন্দ্রপুর এলাকার গফুর মোড়লের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৬০) ও মনিরামপুর উপজেলার সিরাজসিংহ এলাকার সুজায়েদের মেয়ে সুমাইয়া (১২)। একই ঘটনায় আহত হয়েছিলো আরো দুইজন।
[৮] তারা হলেন, সিরাজসিংহ এলাকার লিটন সরদারের মেয়ে তুলি (১২) ও একই এলাকার সাধন দাসের ছেলে ভ্যানচালক উত্তম (৩৫)।
[৯] স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই বিক্ষুদ্ধরা সড়কটি অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
[১০] তিন আরো বলেন, এখানে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ হারাতে হয় অনেকের। তাই এখান থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এখানে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রনে আনতে হবে। তার জন্য সবসময এখানে ট্রাফিক পুলিক থাকা প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :