সিরাজুল ইসলাম: [২] মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পাবজি খেলাকে কেন্দ্র করে ১৩ বছরের কিশোর রাজুকে হত্যা করেছে উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহরাইল গ্রামের রাজু কোরাইশীর ছেলে আলিফ (১৫)।
[৩] নিহত রাজু একই এলাকার মোসলেম মিস্ত্রী ওরফে মোছার ছেলে। এ ঘটনায় শর্টগানসহ আলিফ, তার মা হোসনিয়ারা (৪৫) এবং ভগ্নিপতি সাবেক সেনা সদস্য মাহমুদকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মাহমুদ মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার হাকিম খানের পুত্র।
[৪] স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে পাবজি খেলার কথা বলে রাজু কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আলিফ। পরে তাকে কৌশলে নিলাম্বরপট্রি এলাকার রুপারচর বাজারের পূর্ব পাশে কাশ বনের ভিতর নিয়ে মুখে শার্ট ডুকিয়ে মাথা এবং বুকে ইট দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করে। এক পর্যায় মৃত ভেবে আলিফ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
[৫] এরই মধ্যে স্থানীয় জনৈক নুরু বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে কাশবনের ভিতর গোংড়ানীর শব্দ পেয়ে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় সাহরাইল ইব্রাহিম মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশংকাজনক দেখে ঔ রাতেই সাভারস্থ এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৬ অক্টোবর) ভোর রাতে রাজুর মৃত্য হয়।
[৬] মৃত্যর খবর পেয়ে স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়ি ঘেড়াও করে। এসময় বাড়ির ভেতর থেকে অস্ত্র উচিয়ে জনতাকে ভয় দেখায় আলিফ ও তার ভগ্নিপতি মাহমুদ। বিষয়টি থানা পুলিশ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে অবস্থান নেন। উত্তেজনা ঠেকাতে র্যাব-৪, সিংগাইর থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য এবং উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রের মধ্যস্থতায় প্রায় ৪ ঘন্টার সফল অভিযান শেষে আসামিদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
[৭] থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মো. আবু হানিফ জানিয়েছেন আটককৃত মাহমুদ উদ্ধারকৃত শর্টগানটি নিজের লাইসেন্স করা বলে দাবি করেছেন।
[৮] নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসি খুনি আলিফ ও তার পরিবারের জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি করেন।
[৯] এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়ছে।
আপনার মতামত লিখুন :