ফারুক ওয়াসিফ: মুসলমানকে আক্রমণকারী আর হিন্দুকে বিবাগী করার এ কৌশল যে বোঝে না, তার চুপ থাকা উচিত। হিন্দুরা তাদের সবচেয়ে বড় উৎসবনমুখে করলেন, চাঁদপুরে চারজন মুসলমান মারা গেলেন। আলেম-ওলেমা বা ইসলামী নেতারা তাদের অনুসারীদের লাশ হতে দিলেন, দায় তাদেরও নিতে হবে। তারা দলে দলে জেলে যাচ্ছেন ফাঁদে পড়ছেন, তাও হুঁশ হলো না? আপনারা জেনে বা না বুঝে নিজ জাতি ও ধর্মের মানুষদের মানবতার শত্রদের ঘুটি হতে দিলেন।
আপনারা নালায়েক, আপনারাও বেবুঝ গেরুয়া সৈনিক। তারা অযোগ্য, তাদের রাজনীতি আত্মঘাতী। যে হিন্দু ভাইবোনেরা এবার মন ছোট করে দুর্গাপূজা করলেন তাদের দুঃখের সঙ্গী হতে পারলে ভালো হতো। যে চার মুসলিম নিহত হলেন, তাদের হত্যার দায়ও কাঁধে রইলো। সাম্প্রদায়িকতার গেরুয়া রিংমাস্টারের কাছে সর্বজনের বাংলাদেশ আবারও পরাজিত হলো। ছোট শক্তি যতোই সংখ্যাগুরু হোক এই ছোট ভ, তারা নেতাহীন, তাদের সংখ্যাগুরুত্বের কোনো দাম নেই। কারণ তারা দায়িত্ববান শাসক হতে চায় না। তাদের আছে কেবল অক্ষমের রাগ। কিন্তু চোখ তাদের ফোটেনি। বৃহৎ ভারতীয় হিন্দুত্ববাদ যে লাইনে চলছে তা থেকে তাদের মুক্ত করাও জরুরি। কিন্তু মাল মাথায় ওঠা কিছু বিপজ্জনক বেয়াকুবের জন্য তা করা কঠিন। তারা ঘরের চালে আগুন দিয়ে আসমানি মুরগার কাবাব খেতে চায়, অথচ আগুনটা তার পাছার তলে। তারা পার্ট অফ দি প্রবলেম, সমাধানের কুতুব নয়।
সেক্যুলার মহোদয়গণকে বাদ দিন, মুখস্থ কথার বাইরে ভাবার মগজ তাদের দেখি না। তাদের পাতলা মানবিকতা কোনো কাজেরই নয়। তারা শহুরে বুঁদবুঁদ। শুধু পাপের দাম দিতে হয় তা না, ভুলের মাশুলও গুনতে হয়। সংখ্যার পাটিগণিত দিয়ে কেউ শুভঙ্করের ফাঁকি ঠেকাতে পারবে না। বুঝমান হোন, মানবিক হোন।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হামলা, জেল, গুলি করা আগে বন্ধ করুন, তাহলে সাম্প্রদায়িকতার নামে ভাঙচুর, নির্যাতন করা কঠিন হবে। সব পাপের মূল অবৈধ ক্ষমতা। তার দ্বারা কোনো সমস্যারই সমাধান হবে না। গাব গাছের কাছে ডালিম ফল আশা করবেন না। খুব খারাপ লাগছে। দুই বছর পরে প্রথম খোলা পরিবেশে পূজা, অথচ শহর এলাকায় তা স্বাভাবিকতা পেলো না। কোরআন, মুসলমান, প্রতিমা, হিন্দু সমাজ, এক মাস্টার স্ট্রোকে সব এখন ভুক্তভোগী। তিন দিনের মধ্যেও যখন সরকার সত্য বলতে ও শান্তি রাখতে পারেনি, তখন আপনি আর কী আশা করেন? faruq wasif-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।
আপনার মতামত লিখুন :