খালিদ খলিল: [১] রোগ সারাতে চলছে মিউজিক থেরাপি গবেষণা। কেননা সংগীত একটা শিল্প, যা আমাদের শরীর এবং মনকে ছুঁয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের ধারা এবং স্বতন্ত্র ইতিহাসসমৃদ্ধ সংগীতধারা আছে। যেকোনো ধরনই আকর্ষিত করে, কিন্তু এটা মিউজিকের থেরাপিউটিক চরিত্র, যা যেকোনো পরিস্থিতিতে মনকে ভালো করে দেয়। মিউজিক থেরাপি আমাদের শারীরিক, সামাজিক, আবেগ-অনুভ‚তি সংক্রান্ত এবং চেতনাবুদ্ধিতেও সাহায্য করে। সঠিক মিউজিক ও ভলিউম একাধারে মেডিক্যাল সমস্যার নিরাময়ের সঙ্গে স্নায়ু শিথিল করে ও জীবনের মানোন্নয়ন করে। এটা কীভাবে কাজ করে সেটা একবার দেখা যাক। [২] স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের দাবি, মিউজিকেই ম্যাজিক। শরীরের জন্মগত রোগ সারাতে মিউজিক থেরাপির কোনো বিকল্প নেই। মস্তিষ্কের অকেজো কোষগুলো ক্ষণিকের জন্য হলেও স্বাভাবিক করে তোলে। শরীরকে চনমনে ও মনকে সুন্দর রাখতে গান অপরিহার্য। নিয়মিত ২৫ মিনিট গান শুনলে ব্যাক পেইন অন্যত্র পাড়ি জমায়। পাওয়া যায় প্রশান্তির ঘুম।
[৩] ডেনমার্কের আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মেজাজ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে মিউজিক। মস্তিষ্কের ডোপামিনের প্রভাবেই এই ঘটনা ঘটে। এই ডোপামিনকে নিয়ন্ত্রণ করে মিউজিক। উচ্চ রক্তচাপ, ডিপ্রেশন, ঘুমে জড়তা বা স্মৃতি লোপের মতো অসুখ সারাতে মিউজিকের বিকল্প নেই। মস্তিষ্কের পেশী স্বাভাবিক রাখে। ফলে স্ট্রোকের কারণে লোপ পাওয়া বাকশক্তি ফিরে পেতে এবং পারকিনসন্স রোগ থেকে ধীরে ধীরে আরোগ্য লাভ করা যায়। [৪] এ ছাড়া সিজোফ্রেনিয়া, অ্যামনেসিয়া, ডিমেনসিয়া, অ্যালঝাইমার্স রোগের দুর্দান্ত ওষুধ মিউজিক। গর্ভবতী মায়েরা নিয়মিত গান শুনলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সুন্দর হয়। গবেষকদের দাবি, গান শোনার পর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পড়ার আগ্রহ বাড়ে। মনোযোগ এবং দক্ষতাও বাড়ে। অটিজম আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসায় মিউজিক থেরাপির জুড়ি নেই।