স্বকৃত নোমান: কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির কোলে কোরআন রাখার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়েছে। সেই সূত্র ধরে দুটি মণ্ডপে হামলা ও ভাঙচুর করেছে মুসলমানরা। কোরআন কেটে তার ভেতরে ইয়াবা রেখে পাচার করা রোহিঙ্গাদের পক্ষে সম্ভব। এমন ঘটনা আমরা দেখেছি। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো হিন্দুর পক্ষে হনুমানের কোলে বা মন্দিরের কোথাও কোরআন রাখা অসম্ভব, অবিশ্বাস্য। তারা এতো বোকা নয় যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে নিজেদের আত্মহননের দিকে ঠেলে দেবে।
তাছাড়া পূজার সংস্কৃতির সঙ্গেও এটা যায় না। কেননা মণ্ডপে অন্য ধর্মের কোনো গ্রন্থ থাকা মানে পূজার পবিত্রতা নষ্ট হওয়া। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী একজন মুসলমানের পক্ষে যেমন মসজিদে ‘ভগবদগীতা’ নিয়ে যাওয়া অসম্ভব, একজন হিন্দুর পক্ষেও মণ্ডপে কোরআন নিয়ে যাওয়া অসম্ভব।
সুতরাং চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় এই ঘটনা কোনো হিন্দু ঘটায়নি। কে ঘটালো তবে? তারাই ঘটিয়েছে যারা চায় না বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকুক। হতে পারে ক্ষমতালিপ্সু কোনো শক্তি এমন ষড়যন্ত্র করেছে। বহিঃরাষ্ট্রের ইন্ধন থাকাও অসম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে সম্ভব অন্তরালের ষড়যন্ত্রীদের খুঁজে বের করে আনা।
বাংলার মুসলমান ও হিন্দু সম্প্রদায়কে দেশি-বিদেশি শত্রুর ব্যাপারে সতর্ক হওয়া দরকার। নইলে শত্রুরা আমাদের মধ্যে দাঙ্গার আগুন লাগিয়ে সেই আগুনে আলু পুড়ে খাবে। লেখক : কথাসাহিত্যিক
আপনার মতামত লিখুন :