আরিফুজ্জামান তুহিন: ভারতে কোনো মুসলমান হিন্দুদের কোনো মন্দিরে গিয়ে গরুর মাংস, হাড় রেখে আসবে না। এই পরিস্থিতি ভারতের মুসলমানদের নেই। এরকম সাম্প্রদায়িক ঘটনার ইতিহাসও নেই। আবার বাংলাদেশে কোনো মন্দিরে পবিত্র কোরআন শরীফ কোনো হিন্দু ধর্মের লোকের পক্ষে রেখে আসা সম্ভব নয়। এরকম পরিস্থিতি বাংলাদেশের কোনো হিন্দুর নেই। এমনকি এই ভূমিতে এরকম ইতিহাস নেই।
বরং এই ভূমিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার যে ইতিহাস তা মূলত ব্রিটিশ কলোনির বানানো। আর বাবরি মসজিদকে ঘিরে যে দাঙ্গা সেটির জনক আরএসএস বিজেপি। ফলে কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির উত্তরপাড় পূজামন্ডপে কোরআন অবমাননার যে অভিযোগ হিন্দুদের বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে তার পুরোটাই সাজানো, গল্প। সেটা বোঝার জন্য শার্লক হোমস হওয়ার দরকার নেই। কুমিল্লার ঘটনায় ইতোমধ্যে সেখানকার বহু মন্দির আক্রমণের শিকার হয়েছে। বিবিসির সংবাদমতে, ঠিক কতোগুলো মন্দির আক্রমণের শিকার হয়েছে তার হিসাব পুলিশের কাছেও নেই।
এরকম ন্যক্কারজনক ঘটনায় যারা উসকানি দিচ্ছে-তাদের দ্রুত নজরে আনা দরকার। যারা কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। শূন্য সহনুভূতি রাখতে হবে এসব শ্বাপদ সংকুলের বিরুদ্ধে। কুমিল্লাতে অত্যন্ত প্ল্যান করে কিছু অমানুষ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরাধী যেই হোক তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। যারা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের মন্দির আক্রমণ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। অৎরভুুঁধসধহ ঞঁযরহ-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।
আপনার মতামত লিখুন :