হ্যাপি আক্তার: [২] করোনাকালে যখন অনেকেরই ব্যবসায় ভাঁটা পড়েছে। সেই মুহূর্তে বিরিয়ানি বিক্রি করেই বাজিমাত করলেন ইঞ্জিনিয়ার দুই যুবক। চাকরির সঙ্গেই বিরিয়ানি বিক্রির আয় শুনলে চমকে যাবেন। জি নিউজ২৪
[৩] ভারতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি রাজ্য ওড়িশার ছোট্ট শহর মালকানগিরি। কালেক্টরের অফিসের সামনে সন্ধে হলেই বিরিয়ানির গন্ধে ছেয়ে যায় রাস্তা। নেপথ্যে কর্পোরেট সংস্থায় কর্মরত শহরের দুই ইঞ্জিনিয়ার। চলতি বছরের মার্চ মাসে ফুল টাইম চাকরির সঙ্গেই নতুন ব্যবসা শুরু করেন তারা। প্রতিষ্ঠানটি নাম দিয়েছেন 'ইঞ্জিনিয়ার্স ঠেলা'।
[৪] ছোটবেলা থেকেই বন্ধু সুমিত সামল ও প্রিয়ম বেবর্ত। কোভিড-১৯ এর কারণে ওয়ার্ক ফ্রম হোমই ছিল ভরসা। রাতের খাবার হিসেবে বাইরের স্টল থেকে প্রায়শই বিরিয়ানি কিনতেন দুজনে। কিন্তু প্রিয়ম জানান, স্টলগুলির অবস্থা ও খাবারের গুণগত মান নিয়ে বেশকিছুদিন ধরেই তাদের সন্দেহ হতে শুরু করে। সেই থেকেই বিরিয়ানির ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করেন তারা।
[৫] সস্তায় ভালো খাবারেই বাজিমাত করলেন ওড়িশার এই দুই ইঞ্জিনিয়ার। মায়ের থেকে বিরিয়ানি বানানো শিখে নেন প্রিয়ম। মাত্র ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই পথ চলা শুরু। দুজন রাঁধুনী ও একটি ঘর ভাড়া নিয়ে প্রতিদিনের কাজ চলে। বাজার থেকে উপকরণ কেনা থেকে শুরু করে সবকিছুর তদারকি নিজেরাই করেন সুমিত ও প্রিয়ম।
[৬] 'ইঞ্জিনিয়ার্স ঠেলা'য় ফুল প্লেট বিরিয়ানির দাম ১২০ টাকা। হাফ প্লেটের দাম ৭০ টাকা। ক্রমেই জনপ্রিয় হয়েছে সুমিত ও প্রিয়মের এই প্রচেষ্টা। বিরিয়ানির সঙ্গে এখন চিকেন টিক্কাও বিক্রি করছেন তাঁরা। প্রতিদিন কম করে হলেও ১০০ প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি করেন তারা।
[৭] প্রিয়ম জানান, প্রতিদিন খরচ হয় প্রায় ১ হাজার টাকা। মাসে লাভ হয় প্রায় ৪৫ হাজার টাকার কাছাকাছি। কোভিড-১৯ এর কারণে যদিও ফের হোম ডেলিভারি ব্যবস্থাতেই ব্যবসা চালু রেখেছেন তাঁরা। যদিও জনপ্রিয়তা এতোটুকু কমেনি বলেই দাবি উদ্যোক্তাদ্বয়ের।
আপনার মতামত লিখুন :