বিনোদন ডেস্ক: গোয়াগামী প্রমোদতরীতে খুল্লমখুল্লা ড্রাগসের আসর! কিন্তু আগে থেকেও ওত পেতে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থারঅফিসাররা। গত ২রা অক্টোবর বিলাসবহুল ক্রুজ থেকে এনসিবির হাতে আটক হয় মোট ১৪ জন তরুণ-তরুণী। ডেইলি বাংলাদেশ
সেই তালিকায় সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল নাম ছিল অবশ্যই শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খান। প্রাথমিক জেরার পর উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয় ৬ জনকে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে গ্রেফতার হন ৮ জন।
আরিয়ানের পাশাপাশি ক্রুজ ড্রাগ কাণ্ডে চর্চায় থেকেছে যে দুই নাম, তা হল আরবাজ মার্চেন্ট ও আরিয়ানের বান্ধবী মুনমুন ধামেচা। বলিউডের অন্দরের পরিচিত নাম মুনমুন। মুনমুনকে আটক করা হয়, তখন তার কাছ থেকে ‘চরস’ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু মুনমুন কোথায় ড্রাগস লুকিয়ে ছিলেন তা জানলে চোখ কপালে উঠবে আপনার। স্যানিটারি প্যাডের ভিতর লুকানো ছিল সেই ড্রাগস পিল।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও যেখানে স্যানিটারি প্যাডের ভিতর থেকে ড্রাগস উদ্ধার করতে দেখা গিয়েছে এনসিবির আধিকারিকদের। কেন্দ্রীয় সংস্থার কথায়, এটি ক্রুজের ভিতর মুনমুনের যে রুম ছিল সেইখানে তোলা ভিডিও। তল্লাশির সময় অভিযুক্তর ট্রলি ব্যাগের ভিতর থেকে পাওয়া স্যানিটারি প্যাডের ভিতর থেকে এনসিবির নারী আধিকারিকরা এই ড্রাগস উদ্ধার করে।
https://twitter.com/i/status/1446789017278636032
মুনমুনের বাবা মধ্যপ্রদেশের এক নামকরা বড় ব্যবসায়ী। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরেই দিল্লিতে থেকেছেন মুনমুন। ড্রাগস মামলার এই অভিযুক্ত যে পুরোদস্তুর ‘পার্টি লাভার’ তা স্পষ্টই বলে দেবে তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল। অর্জুন রামপাল থেকে বরুণ ধাওয়ান- একাধিক বলিউড তারকার সঙ্গে পার্টি করতে দেখা গিয়েছে মুনমুনকে।