সুজিৎ নন্দী: [২] সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মঙ্গলবার মহাসপ্তমী। প্রতিটি পূজামণ্ডপে ধূপ-ধুনো, বেল-তুলসি আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দনসহ ১৬টি উপাচার দিয়ে দেবী দুর্গাকে পূজা করা হবে।
[৩] ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদানও করা হবে। সব পূজামণ্ডপে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার আর্শীবাদ চেয়ে ভক্তরা অঞ্জলি প্রদান করবেন। এরপর মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে।
[৪] পুরাণ মতে, মহাসপ্তমীতে ভক্তদের কল্যাণ ও শান্তির আশীষ নিয়ে পূজার পিঁড়িতে বসেন হিমালয় নন্দিনী দেবী দুর্গা। দেহ শুদ্ধি, অঙ্গ শুদ্ধি সেরে শুরু হবে পূজা অর্চনা। বেজে ওঠবে ঢাক-ঢোল, খোল-কাঁসাসহ বিভিন্ন ধরনের বাদ্য-বাজনা। পূজামণ্ডপ গুলো শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হবে।
[৫] এরপরে সকাল ৮টা ৪৭ মিনিট থেকে সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা শুরু হবে। এরপর দেবীর চরণে সব বয়সী ভক্তরা অঞ্জলি নিবেদন করবেন। পূজা শেষে দুপুরে দুঃস্থদের মাঝে বস্ত্র ও ভক্তদের মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে।
[৬] সন্ধ্যায় আবারো পূজা অর্চনা ও প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে মহাসপ্তমীর পূজা। এ উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দুঃস্থদের মধ্যে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে।
[৭] ঢাকেশ্বরী মন্দির, রমনা কালীমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, গুলশান পূজামণ্ডপে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টার মুহুর্মুহু বাজনায় আর ভক্তদের পূজা অর্চনা ও উচ্ছ্বাসে পূজামণ্ডপগুলো মুখরিত হবে।