আফফান উসামা: শিক্ষার্থীর চুল কাটায় শিক্ষক গ্রেপ্তার! শিক্ষার মান-মর্যাদা ও শিক্ষকের প্রতি সম্মান কতোটা নিচে নামলে তা সম্ভব! বিনা কারণে নিশ্চয়ই স্যার চুল কাটেনি। তাছাড়া এখনকার ছেলেমেয়েদের চুলের প্রকৃত রং বোঝা দুষ্কর, আর ডিজাইন তো বড্ড উদ্ভট! একটা সময় শিক্ষককে দেখলে বখাটে ছেলেরাও দূরে লুকাতো। আর এখন শিক্ষকের কথা পছন্দ না হলে শিক্ষকের জীবন ও মান-সম্মান হুমকির মুখে পড়ে যায়। কিছুদিন আগেও তো নিউজ দেখলাম কী এক কারণে স্যারকে পুকুরে ফেলে দিয়েছে শিক্ষার্থী নামের কেউ। দ্বীনের শিক্ষা হোক কিংবা জাগতিক জ্ঞান, শিক্ষকের মর্যাদা দিতে না পারলে আপনার দ্বারা ভালো কিছু করা সম্ভব নয়।
তবে অবাক লাগছে একটা বিষয়ে। শিক্ষার্থী না হয় ভুল বুঝেছে, তার অভিভাবকরা কোথায়? আর অভিভাবকও না হয় ভুল, পুলিশের মাঝে কি শিক্ষার জ্ঞান নেই! বড় বড় মিডিয়াও বড় করেই খবরটা নিয়ে শিরোনাম করছে, কিন্তু প্রতিবাদী কণ্ঠ এখনো চোখে। পড়েনি। ছাত্রের ব্যবহারে ত্রæটি থাকলে একজন স্যারই তো তার শিক্ষা দেবেন, কাজ না হলে শাস্তি দেবেন। কিন্তু সেই শিক্ষা দেওয়ার ফলে শিক্ষকের হাতে যদি হাতকড়া আসে, এর থেকে খারাপ কী হতে পারে? শুধু বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ায়, তারাই কি শুধু শিক্ষক? গ্রামের মাস্টার কি আপনাকে ক খ শেখায়নি! সাধারণ সমাজ না হয় চুপ, শিক্ষকরা চুপ কেন? তারা কি তাদের অধিকার ভুলে গেছেন! জানি না কী হয় সামনে, তবে এই যুগে শিক্ষকের পায়ে ছাত্র পানি ঢাললে আর না হোক শিক্ষক যে জেলে যাবে তা নিশ্চিত। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :