মঈন উদ্দীন: [২] বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), সভানেত্রী জীশান মীর্জার মানবিক উদ্যোগে রাজশাহী’র শরবত বিক্রেতা অদম্য, পরিশ্রমী ও মেধাবী শিক্ষার্থী সাদেকুল ফুড পান্ডার খাবার সরবরাহের জন্য পেল সাইকেল, হেলমেট ও মোবাইল ফোন। জেলার সাদেকুল গোদাগাড়ী থানার পশ্চিম বামনাইল গ্রামের জার্সিস আলীর ছেলে।
[৩] রোববার সকাল ১০ টায় আরএমপি সদরদপ্তরে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি, আরএমপি কর্তৃক আয়োজিত সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী ও ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) মাননীয় ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ এর সহধর্মিণী জনাব জীশান মীর্জা। আরএমপির সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মো. আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয় উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
[৪] প্রসঙ্গত ‘শরবত বিক্রির ফাঁকে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি বিভিন্ন গনমাধ্যমে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি’র সভানেত্রী জনাব জীশান মীর্জার নজরে আসে। তাঁর আন্তরিক উদ্যোগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সাদেকুলের বিষয়ে খোঁজ খবর শুরু করে। আরএমপি ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করে সাদেকুল ইসলামকে খুঁজে বের করেন।
[৫] সাদেকুল সম্পর্কে জানা যায়, সে খুবই পরিশ্রমী ও মেধাবী। রাজশাহী শহরে থেকে সে অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে। হাফেজিয়া শেষ করার পর টিউশনির পাশাপাশি অন্যান্য কাজ করে পড়াশোনার খরচ জোগাড় করে। নগরের বালিয়াপুকুর এলাকায় বসবাস করার সময় নওগাঁর কয়েকজনকে ভ্যানগাড়িতে করে শরবতের ব্যবসা করতে দেখে তার এ পেশার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। তাঁদের কাছ থেকে শরবত বিক্রয়ের প্রাথমিক ধারণা নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। গরমের সময় রাজশাহীতে শরবতের বেশ চাহিদা থাকলেও শীতের সময় চাহিদা না থাকায় সে আগাম ফুড পান্ডায় যোগ দেয়।
[৬] সাদেকুল ২০২০ সালে তিনি আলিম পাস করে। এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষায় সে জিপিএ-৫ অর্জন করে। পরিবারের আর্থিক সংগতি না থাকায় সে প্রায় পাঁচ বছর ধরে গরমের মৌসুমে রাজশাহী রেলস্টেশন এলাকায় ভ্রাম্যমান ভ্যান নিয়ে শরবত বিক্রি করে আসছে। এতে যে আয় হয়, তা দিয়েই মূলত তাঁর পড়াশোনার খরচ জোগাড় করার পাশাপাশি তার পিতা-মাতাকে সহায়তা করে আসছে।