স্বকৃত নোমান: জ্ঞানের বাস অনেক গভীরে। চারদিকে সে অজ্ঞানের আচ্ছাদন দিয়ে রাখে। পেঁয়াজ যেমন। তার অনেক খোসা। একটার পর একটা। খোসাগুলো ছাড়ানো সহজ নয়। ছাড়াতে গেলে চোখ জ্বালা করে। অশ্রæর বিসর্জন দেওয়া লাগে। তারপর ভেতরে পাওয়া যায় একটা চিকন সাঁশ। সেটাই জ্ঞান। সেটাই পরম বস্তু। বইপুস্তক জ্ঞান নয়, জ্ঞানের বাসস্থানে যাওয়ার রাস্তা। ছুরিও বলা যেতে পারে।
জ্ঞান তার চারদিকে অজ্ঞানের যে পর্দা দিয়ে রেখেছে, এই ছুরি দিয়ে তা সরাতে হয়। সরানোটা এতো সহজ নয়। জ্ঞান কেবলই আলেয়ার মতো পথিককে বিভ্রান্ত করে। বিভ্রান্তি ঠেলে অজ্ঞানের পর্দা সরাতে সরাতে হদিস মেলে জ্ঞানের। যে হদিস পায় সে চুপ হয়ে যায়। এতো বকে না। সে কারণেই বাংলার কবি বলেন, ‘ঝিনুকে মুক্তা হলে চুপ হয়ে যায় মুখ খুলে না/ সে যে গভীর জলে যায় গো চলে কিনার দিয়ে আর চলে না।’ লেখক: কথাসাহিত্যিক