শিরোনাম
◈ রাতে বাংলামোটরে জুলাই পদযাত্রার গাড়িতে ককটেল হামলা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবেলায় বাংলাদেশের চার দফা কৌশল ◈ বিআরটিএর মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা ◈ সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ হার‌লো ৭৭ রা‌নে ◈ ২০ বছরেও অধরা এমআই-৬'র ভেতরের রুশ গুপ্তচর! (ভিডিও) ◈ নারী ফুটবলের এই অর্জন গোটা জাতির জন্য গর্বের: প্রধান উপদেষ্টা ◈ প্রবাসীদের জন্য স্বস্তি: নতুন ব্যাগেজ রুলে মোবাইল ও স্বর্ণ আনার সুবিধা বাড়লো ◈ একযোগে ৩৩ ডেপুটি জেলারকে বদলি ◈ 'মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকেরা ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে' (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৯ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:৩২ রাত
আপডেট : ০৯ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:৩২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মঞ্জুরে খোদা টরিক: দেশের রাজনীতি কেন বিদেশের মাটিতে করতে হবে?

মঞ্জুরে খোদা টরিক: কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বিবিসিকে বলেছেন, বিদেশের মাটিতে নয়, দেশে এসে সমালোচনা করতে হবে। এ কেমন যুক্তিবোধ মন্ত্রীর, সত্যি অবাক করে! [১] বিদেশে বসে বাংলাদেশের দলাদলি-রাজনীতি করা যাবে। সরকারের প্রশংসা করা যাবে, মিছিল-মিটিং করা যাবে, সংবর্ধনা দেওয়া যাবে, কিন্তু সরকারের সমালোচনা করা যাবে না। এ কেমন দ্বিমুখী নীতি? [২] দেশের বাইরে বাস করে দলের, সরকারের পদ-পদবি রাখা যাবে, সরকারের উপদেষ্টা হওয়া যাবে, দেশ-জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়া যাবে, কিন্তু সেখান থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা করা যাবে না। এ কেমন যুক্তি?

[৩] বিদেশে দলের পদ-পদবির জন্য দলাদলি হয়, মারামারি-খুনাখুনি হয়, ৩-৪টা কমিটি হয়, তখন দল ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় না? কিন্তু দেশের বাইরে থেকে সরকারের সমালোচনা করলে তখন ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এ কেমন কথা? [৪] দেশের রাজনীতি কেন বিদেশের মাটিতে করতে হবে? নেতারা কেন বিদেশের দলের সম্মেলনের অতিথি হয়ে আসেন? সেটা কী ঠিক? বিদেশে যদি সরকারি দল করা যায় তাহলে সেখানে সরকারের সমালোচনা করা যাবে না কেন? তা না হলে এসব কর্মকা নিষিদ্ধ করছেন না কেন? [৫] বঙ্গবন্ধু হত্যার ৩ জন খুনি, ফাঁসির আসামি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করছেন। তাদের দেশে নিয়ে শাস্তি দিতে পারছেন না, কিন্তু বিদেশের মাটিতে কে কী বললো সেটার জন্য আপনারা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের গ্রেপ্তার করবেন, মামলা দেবেন, হয়রানি-নির্যাতন করবেন, তাকে কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না। সেটা অন্যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বৈরাচারী মানসিকতা ও মানবাধিকার বিরোধী।

[৬] বিদেশ থেকে যারা সরকারের সমালোচনা করছেন, তাদের অনেক আলাপ-সমালোচনা-লেখার সঙ্গে আমি একমত নই, কিন্তু তাদের কথা বলা ও মতপ্রকাশের অধিকারকে সমর্থন করি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাদের কোনো অন্যায়-অন্যায্য-অযৌক্তিক বক্তব্য-আলোচনাকে সমর্থন করি। তারা যদি অন্যায় করে থাকেন তার জন্য অবশ্যই সরকার যিনি অভিযুক্ত তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারেন, কিন্তু দেশে থাকা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের হয়রানি করতে পারেন না। [৭] যারা বিদেশে থাকে তারা শুধু দেশের জন্য টাকা পাঠাবে সেটা ঠিক আছে? দেশের উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখবে সেটাও ঠিক আছে, কিন্তু সরকারের সমালোচনা করা যাবে না, তাদের দোষ-ত্রæটি ধরা যাবে না শুধু স্তুতি ও প্রশংসা করতে হবে, এ কেমন কথা? তা কী করে মানা যায়? [৮] বিদেশে থাকা সাংবাদিক-বøগার ও সমালোচকদের বিরুদ্ধে সরকারের বর্তমান ব্যবস্থা-পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় শিরোনামের ব্যবস্থা করে দিলো। এতে করে কী সরকারের ভাবমূর্তি বাড়বে? এমনিতেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ এগুলো করে তাকে আরো যুক্তিসিদ্ধ করছেন। বলি, ভয়-ভীতি জুলুমের পথ পরিহার করে- দেশে যে অন্যায়-অনাচার, লুটপাট-দুর্নীতি আছে, তার লাগাম টেনে ধরুন। লেখক ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়