শিরোনাম
◈ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও সময়মতো জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান বিএনপির স্থায়ী কমিটির ◈ কমিশনের মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, আপ্যায়ন বাবদ ব্যয়  ৪৫ লাখ টাকা ◈ ভার‌তের কা‌ছে পাত্তাই পে‌লো না অস্ট্রেলিয়া, ম‌্যাচ হার‌লো ৪২ রা‌নে ◈ শুল্ক চুক্তির অধীনে মা‌র্কিন উ‌ড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কিনছে বাংলাদেশ ◈ টিটিপাড়ায় ৬ লেনের আন্ডারপাস, গাড়ি চলাচল শুরু শিগগিরই (ভিডিও) ◈ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বার্তা ◈ ভালোবাসার টানে মালিকের সঙ্গে ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির! ◈ ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থা পেল নিবন্ধন, নতুন নীতিমালায় পুরনো ৯৬টির নিবন্ধন বাতিল ◈ সরকারি দায়িত্ব শেষ, পেশাগত কাজে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপক আলী রীয়াজ: ফিরবেন কিছুদিন পর ◈ ৯ দল নিয়ে এনসিপির রাজনৈতিক জোটের সম্ভাবনা: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর, ২০২১, ০২:৪৩ রাত
আপডেট : ০৮ অক্টোবর, ২০২১, ০২:৪৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আনিস আলমগীর: বাংলাদেশ কেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব তৈরি করতে সহায়তা করছে না?

আনিস আলমগীর : মুহিবুল্লাহর মৃত্যুর পর এখন আরেকটি প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে যে, বাংলাদেশ কেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব তৈরি করতে সহায়তা করছে না? এতোবড় একটি জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে সরকার জরুরি মুহূর্তে শরণার্থীদের কাছে বার্তা পৌঁছাবে কীভাবে! যেখানে নেতা নেই সেখানে তো বিশৃঙ্খলা হবেই, পাতি নেতাদের উৎপাত থাকবে, মাস্তানরা রাজত্ব করবে এবং সশস্ত্র তৎপরতা বাড়বে। সরকারের এটা বহু আগে থেকে ভাবা দরকার ছিলো। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ কেন শান্তিপূর্ণ উপায়ে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরা ত্বরান্বিত করতে বিশে^ ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে না সেই প্রশ্নও ওঠছে। মুহিবুল্লাহ নিজের গুণে উঠে আসা নেতা। তাকে রোহিঙ্গাদের নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সহায়তা করেনি বরং ২০১৯ সালের সমাবেশের জন্য পুলিশি ঝামেলায় পড়তে হয়েছিলো তাকে। ইউরোপে অবস্থান করছেন এমন কয়েকজন বাংলাদেশি কূটনীতিক আমার সঙ্গে হতাশা নিয়ে বলেছেন তাদের কাছে দূতাবাসে গিয়ে সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা ওই দেশে জনমত গঠনে কাজ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তারা এই ব্যাপারে ঢাকায় যোগাযোগ করলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সাড়া পাননি। অনেক দেশের সরকারও রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রশ্নে সোচ্চার ছিলো, সংবাদমাধ্যমেও বাংলাদেশের পক্ষে সংবাদ প্রচার করা হয়েছিলো, কিন্তু জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া তেমন দৃশ্যমান ছিলো না।
সে জায়গায় রোহিঙ্গাদের কাজ করার অনেক সুযোগ ছিলো তখন। রোহিঙ্গা নিয়ে এর আগে যতোবার সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে সমাধান হয়েছে মিয়ানমারের সামরিক শাসন থাকা অবস্থাতেই। বাংলাদেশ মিয়ানমারের বর্তমান শাসন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন না তুলে ভালোই কূটনৈতিক দক্ষতা দেখিয়েছে। কিন্তু সামরিক সরকারকে চাপে রাখার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে ভুল করেছে। সারাবিশ্বে বিশেষ করে উন্নত দেশে যেসব রোহিঙ্গা ডায়াসপোরা ছড়িয়ে আছে, মিয়ারমারকে চাপ দিতে বাংলাদেশের তাদের কাজে লাগানো উচিত ছিলো। উচিত ছিলো বাংলাদেশে অবস্থানত রোহিঙ্গাদের নেতৃত্বকেও স্বীকৃতি দিয়ে সারাবিশ্বে জনমত সৃষ্টিতে পাঠানো। এখনো সারাবিশ্বে রোহিঙ্গা ডায়াসপোরা সক্রিয় আছেন, প্রবাসী রোহিঙ্গা নেতারা তাদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার আছেন। আমার মনে হয় সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রশ্নে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি প্রবাসী রোহিঙ্গাদের কাজে লাগাতে পারেন। দেশেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব প্রক্রিয়া গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। প্রকৃত নেতাদের স্বীকৃতি দিতে পারে। তাতে করে রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরে যাওয়ার আকাক্সক্ষা যেমন বাড়বে তেমনি তারা আন্তর্জাতিক মহলেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে। নয়তো যতোই দিন যাবে বিশ্ববাসীর সামনে একটার পর একটা সমস্যা আসবে, সিরিয়ান শরণার্থীদের পর আফগানিস্তান শরণার্থী প্রাধান্য পাবে। ভুলে যেতে বসবে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল একটি রাষ্ট্র বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের নিয়ে কী বিপদে আছে সেই বিষয়টি। লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়