মোহাম্মদ আলী আরাফাত: -কেন বলছি এ কথা?
-কারণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, ‘হয় আওয়ামী লীগ জিতবে অথবা বিএনপি জিতবে’ -এরকম চিন্তা বিএনপি-জামায়াত করে না।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তার ফলাফল কি হবে তা বিএনপি-জামায়াতিরা আগে থেকেই জানে।
বিএনপি-জামায়াতের অন্ধ কর্মী ও সমর্থকদের কথা বাদ দিলাম, এদের ভাড়াটে বুদ্ধিজীবীরাও আগাম ভবিষ্যৎবাণী করে, -অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি-জামায়াত এত বিশাল ব্যবধানে জিতবে এবং আওয়ামী লীগের এমন ভরাডুবি হবে যে ঢাকা বিমান বন্দরের অবস্থা হবে কাবুল বিমান বন্দরের মত।
কাজেই, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়ে আওয়ামী লীগ যদি জিতে যায় তাহলে তারা সেই নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বলে মেনে নিবে না। অর্থাৎ, তাদের ‘বিশ্বাস ও ভবিষ্যৎবাণী’ অনুযায়ী নির্বাচনের ‘ফলাফল’ না হলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে এটি তারা কোনো ভাবেই মানবে না। বিষয়টা অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার অন্ধ সমর্থকদের মত। শুধুমাত্র জিতলে নির্বাচন ঠিক আছে, হারলে ঠিক নেই।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাওয়ার আগে মানসিকতাও অবাধ ও সুষ্ঠু করতে হবে।
আমার মনে হয় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি যেহেতু অবশ্যই জিতবে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন করার দরকার টা কি? আওয়ামী লীগের উচিত হবে বিএনপির কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে, ঢাকা বিমান বন্দরের দিকে রওনা দেয়া।
বিএনপি, তার সঙ্গী জামায়াত-রাজাকার-যুদ্ধাপরাধী এবং উগ্রবাদীদের বংশধরদের সঙ্গে নিয়ে লুটেপুটে খাক দেশটা, অন্ধকারে আবারও নিপতিত হোক সবকিছু। ভাড়াটে বুদ্ধিজীবীগুলোও, লুটপাটের অর্থের কিছু অংশ পেয়ে আরাম পাক, সুখে থাকুক। জাহান্নামে যাক দেশের মানুষ!
ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :