শাহীন খন্দকার: [২] দেশে করোনা ভাইরাসের শনাক্তের হার গত কয়েকদিন ধরে তিন শতাংশের নিচে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে, করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালয় ফাঁকা শয্যার সংখ্যা বাড়ছে। এদিক থেকে ব্যতিক্রম নয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও। ইতোমধ্যে কিছু বিভাগ চালু হয়েছে আর করোনা ইউনিট রেখেই পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া বাকিগুলো চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে।
[৩] হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, করোনা ইউনিটের অধিকাংশ শয্যা ফাঁকা। নতুন ভবনের পঞ্চম তলা পুরোটাই ফাঁকা করা হয়েছে। সেখানেই বন্ধ থাকা বিভাগগুলো চালু করা হচ্ছে। আবার পুরাতন ভবনে বেড়েছে রোগীর অনেক চাপ। ভর্তি দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, করোনা রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবন।
[৪] তিনি বলেন, সে সময় ভবনের একাধিক বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে রোগীর সংখ্যা অর্ধেকের নিচে চলে এসেছে। আর তাতে করে কয়েকটি বিভাগ নতুন করে চালু করা হয়েছে। করোনা ইউনিট রেখেই পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া বাকি বিভাগগুলো চালু করার চেষ্টা চলছে। হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালু হওয়ার পর থেকে রোগীর চাপ বেড়েই চলছিল।
[৫] পরিচালক বলেন, মেডিসিন বিভাগ, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট, কার্ডিয়াক সার্জারিসহ বেশ কয়েকটি বিভাগ বন্ধ করা হয়েছিল। বাড়ানো হয়েছিল বেড সংখ্যা। এমনকি বার্ন ইউনিট পুরোটাই খালি করা হয়েছিল। চালু করা বিভাগের মধ্যে রয়েছে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট, কার্ডিয়াক সার্জারি,নেফ্রোলজি, এন্ডোক্রাইনোলজি। এসব বিভাগে এখন রোগী ভর্তিও শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি বুঝে পর্যায়ক্রমে বাকি বন্ধ থাকা বিভাগগুলো চালু করা হবে।