মাসুদ আলম, সুজন কৈরী: [২] বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, মঙ্গল ও বুধবার ধানমন্ডি, বনানী এবং মিরপুর এলাকা থেকে অ্যাপসভিত্তিক ডিজিটাল মাইক্রোফাইন্যান্সের নামে অবৈধ সুদের ব্যবসা পরিচালনাকারী প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ইমানুয়্যাল এডওয়ার্ড গোমেজ, আরিফুজ্জামান, শাহিনূর আলম ওরফে রাজীব, শুভ গোমেজ ও মো. আকরাম। তাদের কাছ থেকে ১টি প্রাইভেটকার, ৯ টি মোবাইল ফোন, ৪ টি ল্যাপটপ ও ৪ টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বহি উদ্ধার জব্দ করা হয়।
[৩] ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বল্প সুদে জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার নামে বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। তারা মূলত অর্থ সংকটে থাকা স্বল্প আয়ের লোকজন এবং বেকার ছাত্র-ছাত্রীদের টার্গেট করে। ৩ থেকে ৭ দিনের জন্য ঋণ দিতো। গ্রাহক ৩০০০ টাকার জন্য আবেদন করলে অনুমোদনের পর প্রসেসিং ফি বাবদ ৮১০ টাকা রেখে গ্রাহককে মাত্র ২১৯০ টাকা প্রদান করা হয়।
[৪] ৭ দিন শেষে গ্রাহককে পরিশোধ করতে হয় মোট ৩ হাজার ১৮ টাকা। পরিমাণ যতো বেশি হবে টাকা কেটে রাখার প্রবণতাও বেশি। এ ঋণের টাকা গ্রাহককে বিকাশ অথবা নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই। অ্যাপসগুলো চায়না থেকে পরিচালিত হয় প্রতারকদের এ লোভনীয় অফারের ফাঁদে পরে অনেকে সর্বস্ব হারায়।
[৫] গ্রেপ্তারকৃতরা সরকারি অনুমোদন ব্যতীত থান্ডার লাইট টেকনোলজি লিমিটেড, নিউ ভিশন ফিনটেক লিমিটেড ও বেসিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির নামে আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। আইনগত অনুমোদন ব্যাতীত তারা গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করছে। গ্রাহকরা উক্ত অ্যাপস ইন্সটল করার মাধ্যমে অ্যাপসে গ্রাহকের অজান্তে ক্যালেন্ডারের ইভেন্ট পড়া, গ্রাহকের অনুমতি ব্যাতিরেকে দূর নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে গ্রাহকের মোবাইল ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবি ও ভিডিও ধারন, মোবাইলের কন্টাক্টস পড়াসহ মোবাইলের এক্সাক্ট লাইভ লোকেশন নির্ণয়, ফোনের স্ট্যাটাস এবং তথ্য সংগ্রহ, ফোনে সংরক্ষিত মেসেজ পড়া, পরিবর্তন করার অনুমতি নিয়ে নেয়। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের পারসোনাল ডাটা সিকিউরিটির চরম হুমকিতে পরে।