শিমুল মাহমুদ: [২] আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবে হঠাৎ দেশজুড়ে মৌসুমী জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত রোগী বেড়ে গেছে। আতংকে জেলা থেকে অভিভাবকরা ছুটছেন বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে। ঢাকা শিশু হাসপাতালে বর্তমানে রোগীর চাপ এতটাই বেশি যে প্রতিদিনই অনেক অভিভাবকদেরই ফিরে যেতে হচ্ছে শয্যা ফাঁকা না পেয়ে।
[৩] এ অবস্থায় শিশুর যত্নে অভিভাবকদের আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, এই জ্বরের লক্ষণগুলো হচ্ছে সর্দি-কাশি, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, কাশি খুব বেশি হয়। জ্বর ১০৩ থেকে ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত ওঠে। জ্বর ৫ দিন থাকে। ৩ দিন থাকে খুবই মারাত্মক। অভিভাবকরা আতংকিত না হয়ে শিশুদের প্রতি আরো বেশি যত্নবান হতে হবে।
[৪] ঢাকা শিশু হাসপাতালে পরিচালক ডা. শফি আহমেদ বলেন, শিশুদের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের যত্নটা হতে হবে যে, ডেঙ্গুটা যেন না হয় বা ভাইরাল ফ্লু যেটা হচ্ছে সেটা একজনের কাছ থেকে আরেকজনের হয়। সেটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কিন্তু আমরা এ মুহূর্তে দেখছি যে ঘরে ঘরে ভাইরাল ফ্লু হচ্ছে শিশুদের। ৩ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করে নিতে হবে। ডেঙ্গু আলাদা করে নিতে পারলে চিকিৎসা করাটা সহজ হয়। এ সময়টাতে অধিক যত্ন নিতে হবে শিশুদের।