শরীফ শাওন: [২] শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ন্যাচার গ্যাস ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেডের প্রকল্প মেয়াদ শেষ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির স্ক্র্যাপ মালামাল বিক্রিতে তৃতীয় দফায় নিলাম প্রস্তুতি চলছে।
[৩] প্রথম দফায় ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হলে সর্বেচ্চ দরদাতা হয়ে কার্যাদেশ পায় সিলেটের মেসার্স আতা উল্লাহ। প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া ১০৩ কোটি ৭৫ হাজার টাকা দর প্রদান করে। ডিসপোজাল কমিটির সুপারিশক্রমে ভ্যাট-ট্যাক্স মিলিয়ে সর্বমোট ১১৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকায় বিক্রয়ের লক্ষ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থ পরিশোধের সময় বৃদ্ধির আবেদন করেও নির্ধারিত সময়ে পরিশোধে ব্যার্থ হওয়ায় সেই কার্যাদেশ বাতিল করা হয়।
[৪] দ্বিতীয় দফায় চলতি বছরের ২৫ মে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। তবে সেখানে সর্বোচ্চ দরদতা হয়েও কার্যাদেশ পাচ্ছে না ‘মেসার্স মামুন ট্রেডার্স’।
[৫] পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জনায়, এ দফায় ১৪টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তাদের জামানত হিসেবে পাওয়া পে-অর্ডার যাচাইয়ে ব্যাংকে পাঠানো হলে ৮টি প্রতিষ্ঠানের পে অর্ডার ভূয়া বলে জানায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। দুইশ এগারো কোটি চার লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকার ভূয়া দরপত্র জমা দেওয়ায় ‘মসার্স সাইদুর রহমান’ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলাসহ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। এছাড়া বাকি ৭ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানানো হয়। উল্লেখিত ৮ প্রতিষ্ঠান আগামী টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
[৬] রিসপনসিভ বাকি ৬ দরদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স মামুন ট্রেডার্স’ সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৩১ কোটি টাকা বেশি দর প্রস্তাব করলেও মিলছেনা কার্যাদেশ।
এদিকে ১০ সদস্য বিশিষ্ট্য যাচাই বাছাই কমিটি মূল্য নির্ধারণের পরেও পূণরায় নতুন করে আবার ৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট মূল্য নির্ধারণী কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
[৭] এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শিবনাথ রায় বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। দরপত্রের যে কমিটি এটি দেখভাল করছেন। ওখানে কিছু সমস্যা থাকার কারণে আবারো দরপত্র আহবান করার বিবেচনা করা হচ্ছে’। পূণরায় মূল্য নির্ধারণ ও উপযুক্ত ব্যক্তিকে কাজ না দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যদি কেউ যোগ্য হয়ে থাকেন তাকে অবশ্যই এ কাজ দেয়া হবে।