মঈন উদ্দীন: [২] পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্রডগেজ ইঞ্জিন রয়েছে ৯২টি। যার ৪৩ টিই মেয়াদোত্তীর্ণ। এসব ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল ২০ বছর ধরা হলেও ১৭ টি চলছে ৫০ বছরের বেশী সময় ধরে। এছাড়া ১৪ টির বয়স ৪০ বছরের বেশি এবং ১২টি ৩০ বছরের বেশি পুরনো। বাকি ৪৯ টি ইঞ্জিনের বয়স ২০ বছরের মধ্যে যেগুলো এখনো ভালো আছে। তবে ইঞ্জিন সমস্যা সমাধানে নেয়া প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কুদরত-ই খুদা।
[৩] তিনি বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চল রেলে যুক্ত হবে প্রায় এক হাজার ১২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা ৪০টি নতুন ইঞ্জিন। সবগুলো আনা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ইতোমধ্যেই ৮টি ইঞ্জিন দেশে এসে পৌঁছেছে। আগামী মাসেই সেগুলো পশ্চিমাঞ্চল রেলে যুক্ত হবে। বাকি ৩২টি ইঞ্জিন আসবে চার দফায় আগামী বছরের জুনের মধ্যে বলে জানান রেলের এই কর্মকর্তা।
[৪] কুদরত-ই খুদা আরও বলেন, গত মার্চ মাসে জাহাজে করে ৮টি ইঞ্জিন এসে পৌঁছে চট্টগ্রাম বন্দরে। কিন্তু করোনার কারণে আমেরিকা থেকে প্রকৌশলীরা আসেননি। আগামী একমাসের মধ্যে তারা আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর ইঞ্জিনগুলো পশ্চিমাঞ্চল রেলে যুক্ত হবে। এছাড়াও আগামী ডিসেম্বরে দ্বিতীয় চালানে আরও ৮টি ইঞ্জিন আসবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন পরিচালনায় ব্যয় অনেক বেশি। চলতে চলতে হঠাৎ ট্র্যাকেই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তি হয় যাত্রীদের। তাছাড়া পুরনো এসব ইঞ্জিনের কোন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেলে তা খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই রেলের প্রকৌশলীদেরই স্থানীয়ভাবে যন্ত্রাংশ তৈরি করতে হয়। কিন্তু তা আসলের মতো কাজ করে না।
[৫] তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রগ্রেস রেল লোকোমোটিভ ইনকরপোরেশনের সঙ্গে ৪০টি নতুন ইঞ্জিন কেনার চুক্তি করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ইঞ্জিনগুলো কেনা হচ্ছে। প্রতিটি ইঞ্জিনের দাম ২৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ফলে ৪০টি ইঞ্জিন কিনতে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ১২৩ কোটি টাকা।
[৬] তিনি জানান, এসব ব্রডগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক ইঞ্জিনে ক্ষমতা ৩ হাজার ২৫০ বিএইচপি হর্সপাওয়ার। যা ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। আর প্রতিটি ইঞ্জিনের এক্সেল লোড ১৮ দশমিক ৮ টন বলে জানান রেলওয়ের এই কর্মকর্তা।