সনতচক্রবর্ত্তী : হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে ঘিরে ফরিদপুরে বেড়েছে নারকেল দাম। দুর্গোৎসবে প্রায় প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে তৈরি হয় নাড়ু।
নারকেলের নাড়ু খেতে কার না ভালো লাগে। আর এই সময় পূজায় মিষ্টান্ন আইটেমে এর পাশাপাশি নাড়ুর উপস্থিতি থাকা চাই-ই-চাই!পূজার সময় নাড়ু বানানোর রীতি অনেক পুরানো । গ্রামে বা শহরে সব পরিবারে বানানো হয় নানা স্বাদের নারকেলের নাড়ু।পূজাতে বেড়াতে আসা অতিথিদের মুড়ি, বিভিন্ন ধরনের ফল, লুচি ও মিষ্টির সঙ্গে নাডু দিয়ে আপ্যায়ণ করা হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ প্রচালন। আর এই জন্য নাড়ু তৈরিতে প্রয়োজন নারিকেলের। তাই পূজার সময় অন্য অঞ্চলের মতো ফরিদপুর অঞ্চলে নারিকেলের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুন।
জেলার বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালি, সালথা, নগরকান্দা, সদর উপজেলা প্রকার ভেদে এক-একটি নারিকেল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে চলছে পূজার চূড়ান্ত প্রস্তুতি। পূজায় দেবী উপাচার ও ভক্তদের আপ্যায়ণের জন্য ফল, মিষ্টির পাশাপাশি নারিকেলের নাড়ু।
মধুখালির থেকে সুকুমার রায় বলেন, প্রাচীন কাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রতিটি পূজাতে হিন্দু বাড়িতে নাড়ু ছাড়া চিন্তা করা যায় না।তাই পূজা উৎসবের খাবারের তালিকায় থাকতে হবে বিভিন্ন রকম নাড়ু। মিষ্টি ও মুখরোচক এই খাবারগুলো
সাথে নাড়ু সবার কাছেই সমান প্রিয়। আর কয়েকদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় শারদীয় দূর্গা পূজা। পূজায় খাবার-দাবারের তালিকায় নাড়ু থাকবে না, তাই কি হয়! নাড়ু ছাড়া পূজার খাবার অসম্পূর্ণই থেকে যায়।পূজা এলেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ে নারকেলের চাহিদার, হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে তাদের বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের নাড়ু তৈরি হয়।নাড়ু ছাড়া মনে হয় কোথাও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
বোয়ালমারী চৌরাস্তায় এক গাছি, বিভিন্ন গাছ থেকে কিছু নারকেল পেড়ে এনে বিক্রি করতে দেখা যায়। প্রতিটি নারকেলের জোড়া ১২০ টাকা করে। নারকেল কিনতে এসে সুশীল মালো বলেন, ‘আমরা সারা বছর কম বেশি নাড়ু খাই। তবে পূজার সময় নারিকেল ছাড়া আমাদের চলে না। আবার প্রতিটি মন্দিরে ১০০ উপরে নারিকেলের প্রয়োজন হয়।’ অন্য বছরের চেয়ে এবার তুলনামূলক নারিকেলের দাম বেশি বলে তিনি জানান। এসময় তিনি বলেন, ‘পূজার সময় বাড়িতে ছেলে-মেয়ে, জামাই আত্মীয় স্বজনদের লাড়ু দিয়েই তো আপ্যায়ণ করা হয়।’
সাতৈর বাজার থেকে নারকেল বিক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, পূজার মৌসুমে নারিকেলের চাহিদা বেড়ে যায়। আমরা এই অঞ্চলের মানুষের বিভিন্ন গাছ থেকে পেড়ে এনে১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রি করি। বছরের অন্য সময়ে যেখানে দিনে ৭০-৮০টি নারিকেল বিক্রি হয় সেখানে পূজার সময় গড়ে ১০০-১২০ জোড়া বিক্রি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :