খালিদ আহমেদ: [২] তিথি রায় শনিবার (০২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে খুব সকালে গোপালগঞ্জ খেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হন।
[৩] পরীক্ষার নির্ধারিত সময় ছিলো বেলা ১১টা। যানজটের কারণে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে তিথি পৌঁছান ১১টা ২৫ মিনিটে। তখন ভেতরে ঢোকার অনুমতি না মেলায় কান্নায় ভেঙে পড়েন এই শিক্ষার্থী।
[৪] ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রে দেরিতে আসায় তিথিকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসির সদস্যরা তাকে বাধা দেন।
[৫] তিথির সঙ্গে আসা মা গীতা রায় বলেন, ‘মেয়েটার এতো দিনের স্বপ্ন ও কষ্ট সব জলে গেল। কীভাবে যে ওকে সান্ত্বনা দেবো, কিছুই বুঝতে পারছি না।’
[৬] বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম বলেন, ভর্তি পরীক্ষার বিধি অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে ঢোকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু তিথি রায় নামের ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর অন্তত ২৫ মিনিট পরে কেন্দ্রে উপস্থিত হন। যদি ১১টার দু-এক মিনিট পরেও আসতেন, তাহলেও বিষয়টি বিবেচনা করা যেতো।
[৭] শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থার কথা ভেবে বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদলকে জানালে তারাও ওই পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি দেয়নি। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।