অমল তালুকদার: শিমুলের মুল,এলোবেড়া,বেল ও নানা প্রজাতির ভূষি নিয়ে তার প্রতিদিনকার বানিজ্য। রাজধানী ঢাকার শাখারী বাজার শনি মন্দিরের সামনে প্রতিদিন তার দেখামেলে। আজও তার দেখা পেলাম। নাম আব্দুল হক। বয়স ৬৫ বছর। বাড়ি বরিশালের গৌরনদী।
এখানে ৩০ বছর ধরে এই ব্যবসায় জড়িয়ে আছেন।
সদরঘাট কিংবা সায়েদাবাদ যেখান থেকেই রাজধানীর বুকে 'পা' রাখিনা কেনো শাখারী বাজার এই হক ভাইয়ের এক গ্লাস এলোবেরার সরবত খালিপেটে খেতে হাজির হয়ে যাই সবসময়। আজও ভুল করিনি। সদরঘাট থেকে সকাল সারে ছ'টায় রাজধানীর বুকে পা'রেখে কোনো যান্ত্রীক দানবে নয় একদম পায়ে হেটে শাখারী বাজার শনি মন্দিরের সামনে। যথারীতি আজও দেখা মিললো সেই চেনামুখের। সরবত খেতে খেতে কথা হয় তার সঙ্গে। জীবনের আড়াই যুগ কাটিয়ে দিলেন এই স্থানে।
জানালেন সরবত সহ নানা গাছ গাছড়ার গুনাগুনের কথা। একপর্যায়ে একটি শিমুলের শিকড় খেতে দিলেন। ঘচাঘচ চিবিয়ে খেলাম।
জীবন থেমে নেই কারো। নানা পেশার মানুষ। নানা রঙের জীবন। কোনো কোনো পেশার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হয়। হ্যাঁ, আব্দুল হক ভাইয়ের পেশাটি শ্রদ্ধা করার মতো। ভালো থাকুন প্রিয় আব্দুল হক। ঘুর্নায়মান জগতে হয়তো আবার দেখা মেলবে। হবে কথাও।
আপনার মতামত লিখুন :