শাহীন খন্দকার ও মহসীন কবির:[২] শনিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী এ মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
[৩] পৃথক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী মরহুম জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
[৪] সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা বাবুল দুই দফায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন সাবেক এই মন্ত্রী।
[৫] ডাকসুর সাবেক জিএস ও প্রাক্তণ সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলুর করোনা ধরা পড়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর। ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিকের পক্ষে প্রচারণা চালাতে পাঁচ দিন তিনি সিলেটে অবস্থান করেন।
[৬] ঢাকায় ফিরে অসুস্থ বোধ করলে ও উপসর্গ দেখা দিলে ৬ সেপ্টেম্বর করোনা পরীক্ষা করালে পজিটিভ শনাক্ত হয়। ঐদিনই তিনি ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে এক দিন পর তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বাবলুর ব্যক্তিগত সহকারী জানান, তিনি আগে থেকে অ্যাজমা ও হার্টের জটিলতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন। করোনা শনাক্তের পর ফুসফুস মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়।
[৭] বাবলুর নামাজে জানাজা বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। পরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে দুপুর ১ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে রাখা হবে তাঁর মরদেহ।
[৮] জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ছিলেন। জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এ ছাড়া ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার শুরু থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। ডাকসুর জিএস হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
[৯] ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাগনিকে বিয়ে করেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। তার বর্তমান স্ত্রীর নাম মেহেজেবুন্নেছা টুম্পা। বাবলুর প্রথম স্ত্রী ফরিদা সরকার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মারা যান। আশিক আহমেদ তাদের ছেলে। আশিক বিবাহিত এবং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। পক্ষান্তরে টুম্পারও প্রথম সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে।
আপনার মতামত লিখুন :