রাজু চৌধুরী: [২] র্যাব-৭ ও বান্দরবান রিজিয়ন এর যৌথ একটি দল অভিযান পরিচালনা করে পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার থেকে পাচার করে বান্দরবান আনা ১৫ কোটি টাকা মূল্যের চার লক্ষ পঁচানব্বই হাজার ইয়াবার একটি চালান সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে।
[৩] শুক্রবার (১ অক্টোবর) ভোর ৫টার সময় বান্দরবানের দুর্গম আলীকদম থেকে এসব ইয়াবা উদ্ধার এবং আটক করা হয় দুই মাদককারবারিকে।
[৪] র্যাব-৭ এর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইয়াবার এই বড় চালান মায়ানমার থেকে বান্দরবান আলীকদম থানার সদর ইউনিয়নের উত্তর পালং পাড়ার একটি ঘরে মজুদ করে রাখা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হলে,
এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদককারবারিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা মো. মনির (২৩) ও মো. সাইফুল ইসলাম (১৯) নামে দুইজনকে আটক করে।
[৫] এই সময় শপিং ব্যাগের ভেতর থেকে ৪৯ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য মতে তাদের বসত ঘরের পেছনে মাটির নিচে ১টি ড্রামের ভেতর থেকে আরও ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, আটক মনির বান্দরবান জেলার আলীকদম থানার উত্তর পালং পাড়ার হাজী কবির আহাম্মদের ছেলে এবং সাইফুল একই এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে।
[৬] মনির তার আরও দুই ভাই মিলে পার্বত্য অঞ্চলে মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। মনিরের বাকি দুই ভাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
[৭] সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য তারা টেকনাফের সাগর পথ ব্যবহার না করে বান্দরবান পাবর্ত্য জেলার পাহাড়ি পথ ব্যবহার করে। মাদককারবারিরা মায়ানমার থেকে ইয়াবা বড় চালান বাংলাদেশে এনে পরবর্তীতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পাচার করে আসছে। আটককৃতদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য আলীকদম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।