মনিরুল ইসলাম : [২] বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাল্যবিবাহ নিরসনের ক্ষেত্রে অভিভাবক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কাজী ও নিকাহ রেজিস্ট্রারদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি সম্ভব। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় এ ধরনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
[৩] বৃহস্পতিবার এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহের নান্দাইলে অনুষ্ঠিত 'কোভিডকালীন কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক পরামর্শ কর্মশালা'-য় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।
[৪] স্পিকার বলেন, কোভিডকালীন সময়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক ভাবে নেতিবাচক প্রভাব বিশ্বব্যাপী পড়েছে। কিশোর-কিশোরীদের মানসিকতার উপরও এর প্রভাব পড়েছে। এসকল সমস্যা উত্তরণে সামাজিকভাবে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজতে হবে।
[৫] ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ও মেয়েদের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মেয়েদের উচ্চশিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে। নারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে কমিউনিটি ক্লিনিক, পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক, ল্যাকটেটিং ভাতার ব্যবস্থা ইত্যাদি বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রজননস্বাস্থ্যের বিষয়ে সকলকে সতর্ক হতে হবে, কেননা একজন সুস্থ মাই পারেন সুস্থ জাতি উপহার দিতে। অভিভাবকদের বুঝতে হবে একজন মেয়ে কখনো বোঝা নয় বরং সম্পদ। তাদের স্বাবলম্বী হবার জন্য সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। তাদের স্বাবলম্বী করার মাধ্যমেই দেশ এবং জাতি এগিয়ে যাবে।
[৬] সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খানের সভাপতিত্বে ও সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ , ফখরুল ইমাম , আরমা দত্ত, আবিদা আনজুম মিতা , শামীমা আক্তার বক্তব্য রাখেন।
আপনার মতামত লিখুন :