আবদুন নূর তুষার: ইভানাকে আমি তার কৈশোরে দেখেছি। এতো নম্র, ভদ্র, মেধাবী ও সৎ মানুষ কম হয়। সে বিতর্ক করতো। বড় আইনজীবী হওয়ার, ভালো মানুষ হওয়ার, ভালো বিতর্ক করার চেষ্টা ছিলো তার। তার মৃত্যুর বিচার চেয়ে কথা বলতে হবেথ এটা ভাবতে পারিনি কখনো। বিতর্ক উৎসবে তার ক্লাবের খাবারের সঙ্গে এক বোতল পানি বেশি চলে এসেছিলো। সে সেই পানির বোতলটা ফেরত দেবে কোথায় সেটা খোঁজ করছিলো।
আমি বললাম, রেখে দাও। সে বললো না, যদি আরেকজন কম পায়? তারপর সে নিজেই আশেপাশে পড়ে থাকা কিছু খাবারের প্যাকেট আর খালি বোতল কুড়িয়ে নিয়ে ওয়েস্ট বিনে ফেলে দিচ্ছিলো। আমি তাকে বললাম, এটা করার দরকার নেই। সে বললো, নিজেদের ময়লা নিজেদের পরিষ্কার করা উচিত।
আমি তার মাকে বলেছিলাম। আপনার মেয়ে বড় মানুষ হবে। কথাটা ঠিকই ছিলো। সে বড় মানুষই হয়েছিলো। মানুষ বলেই অমানুষদের পৃথিবীতে বেমানান হয়ে গিয়েছিলো। এই মেয়ে যে এভাবে চলে যাবে সেকথা তো জানা ছিলো না। ইভানার মৃত্যুর বিচার হওয়া জরুরি। এমন মানুষদের মনের যত্ন নিতে হয়। কারণ তারা আঘাত পায় বেশি। কষ্টকে মেনে নিতে পারে না। তারা মনে করে মানুষ তাদের সততা, ভালোবাসা বুঝবে। মানুষের নির্মমতা ও স্বার্থপরতা, অসম্মাান আর অবহেলা তারা মেনে নিতে পারে না। ইভানার মৃত্যু অনেকগুলো ঘটনার একটি। এরকম অনেকে মৃত্যুসম কষ্টের মধ্যে আছে। তাদের প্রতি অন্যায় বন্ধ করার জন্যও এই বিচার দরকারি। ফেসবুক থেকে