লিহান লিমা: [২] মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া দাবী করেছে, তারা হুয়াসং-৮ মানে একটি নতুন হাইপারসনিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, পাঁচ বছর মেয়াদী সামরিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় রাখা ‘পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র উন্নয়ন’ এর একটি হলো নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি। গার্ডিয়ান
[৩] দেশটি পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘কৌশলগত অস্ত্র’ বলে অভিহিত করেছে। মঙ্গলবারের এই উৎক্ষেপণ কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যেএ পিয়ংইয়ংয়ের ক্রমবর্ধমান অস্ত্র প্রযুক্তির অন্যতম একটি চিহ্ন। কেসিএনএ জানায়, ‘অস্ত্র ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন দেশের আত্মরক্ষার সক্ষমতাকে সার্বিকভাবে বৃদ্ধি করবে। এ নিয়ে এই মাসেই তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো দেশটি।
[৪]ইতোমধ্যেই তারা নতুন ধরনের ক্রুজ মিসাইল এবং ট্রেন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা দেখিয়েছে। নতুন অস্ত্রের সঙ্গে সঙ্গে তারা প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র জ্বালানী অ্যাম্পুল চালু করেছে যাকে ‘উল্লেখযোগ্য মাইলফলক বলেন’ নিরাপত্তা বিশ্লেষক অঙ্কিত পান্ডা। গত মাসে জাতিসংঘের পারমাণবিক সংস্থা বলেছিলো, উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্রের জন্য প্লুটোনিয়াম তৈরি করতে পারে এমন একটি চুক্তি পুনরায় চালু করেছে বলে মনে হচ্ছে।
[৫]হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সাধরণত ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় অনেক দ্রুতগতির হয় যেগুলো আটকানো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ বাহিনীর প্রধান বলেছেন, তারা মনে করছেন এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি যুদ্ধে মোতায়েন করার আগে যথেষ্ঠ সময় লাগবে। তারা আরো বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দ. কোরিয়া উভয়ই এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি শনাক্ত এবং এটি আটকাতে সক্ষম।