শিরোনাম
◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ◈ এ‌শিয়া কা‌পে ওমানকে হারা‌লো আরব আমিরাত ◈ বাংলাদেশ দলের বিরু‌দ্ধে আমা‌দের চ্যালঞ্জ নি‌য়ে খেল‌তে হ‌বে: আফগানিস্তান কোচ ◈ বাংলাদেশি পাসপোর্ট সহ টিউলিপের ট্যাক্স ফাইলের খোঁজ পেয়েছে এনবিআর ◈ জলদস্যুদের ধাওয়ায় ট্রলারডুবি: ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসে ১৮ জেলের জীবনরক্ষা

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৭:১৩ বিকাল
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৭:১৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বোয়ালমারীতে করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় প্রায় ৪'শ স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিবাহ

সনতচক্রবর্ত্তী : [২] করোনায় দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাল্য বিয়ের প্রবণতা বেড়েছে।

[৩] উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলায় সর্বমোট ২৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩শ ৮৯ জন ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের রূপাপাত বামন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭২ জন, পৌর সদরে অবস্থিত সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৪ জন এবং ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৬ জন।

[৪] এক সূত্রে জানা গেছে, আইনসঙ্গত উপায়ে বর্তমানে বাল্যবিয়ের নিবন্ধন কোনো নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) করতে পারেন না। তাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে যে নিকাহ রেজিস্ট্রার রয়েছেন তারা নকল নিবন্ধন ফরমে সই নিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করেন। পরে যখন ছাত্রীদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখন রেজিস্ট্রেশন করবে। ফলে তারা আইনের চোখে নির্দোষ থেকে যান।

[৫] উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আগে থেকেই বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেশি ছিল। অধিকাংশ বিয়ে পারিবারিকভাবে হলেও কিছু শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে পরিবারের অমতে, প্রেমের সম্পর্কের ভিত্তিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বিয়ের খবর শুনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অভিভাবকেরা জানান, ভালো ছেলে পাওয়ায় মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। বাল্যবিয়ে দেওয়া উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের বনমালীপুর প্রামের এক অভিভাবক বলেন, দিনকাল ভালো না-কখন কি হয়ে যায় বলা যায় না। স্কুলও বন্ধ তাই ভালো ছেলে পাওয়ায় মেয়ের বিয়ে দিয়েছি।

[৬] বাল্য বিয়ের বিষয়ে রুপাপাত বামনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মোল্যা বলেন, এই এলাকার অধিকাংশ শিক্ষার্থী শ্রমজীবি পরিবারের। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এসব বাল্য বিয়ে হয়েছে।

[৭] এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম বলেন, প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেড়েছে। উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গড়ে ২৫/৩০ পার্সেন্ট শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়েছে।

[৮] নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, এতো সংখ্যক বাল্যবিয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ ব্যাপারে আমাকে বিস্তারিত জানালে পরে বক্তব্য দিতে পারবো। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়