রাহুল রাজ: [২] দেশের করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ভাইরাসের সংক্রমণ কমতে থাকায় আগামী মাস থেকে পুরোদমে শুরু হতে যাচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট। আগামী ১৭ অক্টোবর জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) দিয়ে মাঠে গড়াবে ঘরোয়া ক্রিকেটের আসর। রোববার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৩] জাতীয় ক্রিকেট লিগের পরপরই শুরু হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।এরপর আসছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচি শুরু হচ্ছে জানিয়ে এই নির্বাচক বলেন, ‘এবার আমরা একটু সময় নিয়েই এনসিএল শুরু করতে যাচ্ছি। দলগুলোকে যথেষ্ট সময় দেয়া হচ্ছে। সাধারণত যখন এনসিএল শুরু করি, দলগুলো খুব একটা সময় পায় না। এবার প্রায় এক মাসের সময় পাচ্ছে।
[৪] করোনার কারণে প্রতিবারের চেয়ে এবার স্কোয়াড কিছুটা বড় করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে ২০-২২ জনের একটা টিম করে দেয়া হয়েছে। এখন ফিটনেস ট্রেনিং চলছে। ১ অক্টোবর থেকে ফিটনেস টেস্ট হবে। এর আগে ওরা ট্রেনিংয়ের সুযোগ পায়নি। এবার সুযোগটা করে দেয়া হয়েছে। ফিটনেস টেস্টের পর আমরা ১৬ জনের দল করব। সবসময় আমরা ১৪ জনের দল দেই। এবার করোনার জন্য দুইজনের বেশি দিচ্ছি।
[৫] বিশ্বকাপের পরে জাতীয় দলের বেশ কয়েকটি টেস্ট সিরিজ থাকায় এনসিএল ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি বাড়িয়ে দিবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু টেস্ট ম্যাচ আছে। এটা কিন্তু খেলোয়াড়দের তৈরি করার জন্যে ভালো একটি সুযোগ। আমরা খুব একটা টেস্ট খেলার সুযোগ পাইনি। অনুশীলন ম্যাচ আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের মধ্যে তো পার্থক্য অবশ্যই আছে। পাকিস্তান সিরিজের আগের এনসিএলের মাধ্যমে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি হবে বলে মনে করি।
[৬] করোনাকালীন ট্রাভেল সমস্যার এড়াতে দুটি ভেন্যু দিয়ে শুরু হচ্ছে এনসিএল। এ বিষয়ে এই নির্বাচক বলেন, আমাদের এই এনসিএলটা যখন শুরু হয়ে বন্ধ হয়ে গেল, তার পেছনে বড় কারণ ছিল ট্রাভেলিং। আমরা চাই যেন হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে খেলতে পারি। সবাই সবার বিভাগে গিয়ে খেলুক।
[৭] হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে কিন্তু আইপিএলের মতো অবস্থা তৈরি হয়। কিন্তু আমরা সবাই জানি, কোভিডের সঙ্গে আমাদের এখনো লড়াই করতে হচ্ছে। ট্রাভেলিংটা একটু ঝুঁকিপূর্ণ। ট্রাভেলিংটা করতে গিয়েই গতবার আমাদের বন্ধ হয়েছে। এখন পর্যন্ত যতদূর জানি দুইটা ভেন্যুতে খেলা হবে। একটা কক্সবাজার, আরেকটা সিলেটে। সম্পাদনা: এল আর বাদল।