শিরোনাম
◈ নিউইয়র্কে জোহরান মামদানির জয়: কেন ক্ষুব্ধ মোদি সমর্থকেরা? আল–জাজিরার প্রতিবেদন ◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা

প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৩৬ দুপুর
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] পর্যটনে সম্ভাবনাময় কক্সবাজার হবে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন শহর

আয়াছ রনি: [২] করোনা মহামারি কাটিয়ে এই বছর যথাযথ নিয়মে পালিত হচ্ছে 'বিশ্ব পর্যটন দিবস'। ১৯৭০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের পর্যটন শাখার বার্ষিক সম্মেলনের নাম, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। তখন থেকে এর নাম ‘বিশ্ব পর্যটন সংস্থা’ (ইউএনডব্লিউটিও) করার বিষয়ে সদস্যরা একমত হয়। নতুন নামে ১৯৭৪ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি।

[৩] ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এর লক্ষ্য পর্যটনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পর্যটনের অবদান সম্পর্কে অবহিত করা।

[৪] জাতিসংঘের দিবসটি আন্তর্জাতিক পর্যটন বিকাশে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে এবং বিশ্ব পর্যটনের উন্নতিকল্পে ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা নির্ধারণ করে। করোনাভাইরাসের বিষাক্ত থাবায় লণ্ডভণ্ড গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ও মানুষের জীবন যাত্রার মান বিপর্যস্ত। তাই এ বছর বিশ্ব পর্যটন দিবসে এর প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে - আগামীর বিশ্বে ‘পর্যটন ও কর্মসংস্থান - সবার জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ’। প্রতিপাদ্য বিষয় অনুসারে জাতিসংঘের তিনটি উন্নয়নশীল ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করবে তা হল- শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান। শিক্ষা ও দক্ষতা পর্যটন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কারন এই দুইয়ের সংমিশ্রণে বিশ্ববাসীর কর্মসংস্থান অর্জনে সহায়তা করবে।

[৫] বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সাথে যোদ্ধ করে পর্যটন খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিশ্বের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষকে কর্মসংস্থানে সম্পৃক্ত আছে। পৃথিবীর অন্যান্য ক্যারিয়ারের মত পর্যটনে ক্যারিয়ার সমূহ মানুষকে কর্মসংস্থানের জন্য আকৃষ্ট করবে যেমন ট্র্যাভেল এজেন্ট, হোটেল ম্যানেজার, ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড, এক্সিকিউটিভ শেফ, পিআর ম্যানেজার ইত্যাদি। মালদ্বীপ, ভুটান, কম্বডিয়ার মত ছোট দেশগুলির প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ পর্যটন খাত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে।

[৬] পর্যটন খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেক। বাংলাদেশ পৃথিবীরে বৃহত্তম ব-দ্বিপ।ভ্রমন ও পর্যটনে বাংলাদেশ পৃথিবীর অনন্য দেশর ভ্রমণকারীদের পছন্দের অন্যতম স্থান কক্সবাজার।বঙ্গোপসাগরের নীল জল তরঙ্গ, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আঁধার বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত যার দৈর্ঘ্য ১২০ কিলোমিটার। আরও আছে পাহাড়ি গরম পানির ঝর্না হিমছড়ি, পাঠুরে বিচ ইনানী, সাবরাং অর্থনীতিক জোন, হাটেক পার্ক জালিয়ার দ্বীপ, টেকনাফ নেটং পাহাড়, বঙ্গোপসাগরের বুকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ সহ অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। পাহাড় সমৃদ্ধ সবুজ ঘাসের উপর বসে পূর্ণিমা দেখবেন, কিংবা আমাবস্যায় জোনাকি পোকার সাথে প্রেমালাপ করবেন-তাহলে যেতে পারেন রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি। পর্যটকদের আনন্দ দায়ক স্থান মহেশখালী, সোনাদিয়া দ্বীপে সাগরের বুকে জাহাজ নিয়ে ভ্রমণ করা।

[৭] বাংলাদেশের মানুষ ভ্রমণ প্রিয় এত এত পর্যটন অঞ্চল থাকা সত্ত্বে ও সিংহভাগ দেশি বিদেশি ভ্রমনপ্রিয় মানুষ কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনে সময় পেলেই চলে যায়। যেকোনো উৎসব, ছুটির দিনে পরিবারের ছোট বড় সবাই দল বেঁধে কক্সবাজারে সমুদ্র স্রানে যাওয়ার প্রচণ্ড ইচ্ছা, আগ্রহ টের পাওয়া যায়। পৃথিবীর আর কোন সমুদ্র সৈকতে খুঁজে পাবেন না যা এতটা দীর্ঘ আর উন্মুক্ত।পর্যটকেরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে নিজের মধ্যে প্রশান্তি খুঁজে সৈকতে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের মাঝে। তাছাড়া কক্সবাজার প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ। তবে সম্ভাবনাময় কক্সবাজার পর্যটন খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা করোনাকালীন পর্যটনখাতে যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তা বিশ্ব পর্যটন দিবস পালনের মধ্যে দিয়ে সুন্দর পর্যটন নগরী কক্সবাজার গড়ার প্রত্যয় নিয়ে পুরো দমে ব্যবসা করে পুষিয়ে নেওয়ার আশায় বুক বেধে সামনে এগিয়ে চলার প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।

[৮] কক্সবাজার জেলায় উখিয়া টেকনাফে বার লাখের অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে। পর্যটন খাত থেকে শুরু করে ভৌগোলিক ভাবে বাংলাদেশের জন্য কক্সবাজার জেলা অতি গুরুত্বপূর্ণ। যদি রোহিঙ্গা শরণার্থীর কারনে কক্সবাজার পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে দেশের সামগ্রিক পর্যটন খাত মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

[৯] প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার কে উন্নত পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন, দেশি বিদেশি পর্যটকদের জন্য আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সহ বড় বড় মেগাপ্রকল্প হাতে নিয়ে বিশ্বের দরবারে আধুনিক পর্যটন নগরী গড়ে তোলার জন্য নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে। কক্সবাজারের পর্যটনখাত উন্নত হলে স্থানীয়দের জীবন মান পরিবর্তনের সাথে সাথে দেশের অর্থনীতিতে এই জেলার পর্যটন খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই আগামীর সম্ভাবনাময় কক্সবাজার হবে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন শহর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়