শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:০৪ রাত
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:০৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: কারা জানি বলছিলেন, এবারের তালিবান ভিন্ন!

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: আফগানিস্তানের তালিবান সরকার কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসাবে মোহাম্মদ আশরাফ ঘাইরাতকে নিয়োগ দিয়েছে। এই নিয়োগ নিয়ে সংবাদ মাধ্যম ও টুইটারে সমালোচনার ঝড় বইছে। তার সম্মন্ধে লিখতে গিয়ে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তার সহপাঠী ও রুমমেট আমেরিকা প্রবাসী এক আফগান সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যটাস দিয়েছেন। তার পোস্টটির মর্মার্থ আমি যেভাবে বুঝেছি সেভাবে নিচে লিখলাম।

‘কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসাবে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত আশরাফ একজন terrible মানুষ। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ার সময় সে আমার সহপাঠী ছিলো এবং আমরা একই রুমে একসঙ্গে থেকেছি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সে পরীক্ষায় সহজ বিষয়ও একবারে কখনো পাস করতে পারতো না। আমার এখনো মনে আছে সে নারীদের খুব অসম্মানজনক দৃষ্টিতে দেখতো। এমনকি শিক্ষক প্রতিও disrespectful ছিলো। তাকে এখন কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর নিয়োগ করা হয়েছে। এটা আমাকে খুব আহত করে যে একজন incompetent, unexperienced এবং সম্পূর্ণ মূর্খ একজন মানুষকে এরকম একটি sacred position-এ বসানো হয়। আমি এই নিয়োগকে আমাদের উচ্চ শিক্ষাকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের একটা পরিষ্কার বার্তা হিসাবে দেখছি’। মূল স্ট্যাটাসটি Arif Bahrami-র ফেসবুক ওয়ালে পাবেন। চ্যান্সেলর পদটি একটি অলংকার স্বরূপ।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজে চ্যান্সেলরের তেমন কোনো হাত নেই। তথাপি পৃথিবীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসাবে এমন একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয় যিনি শিক্ষাদীক্ষা ও নৈতিকতায় উদাহরণীয়। চ্যান্সেলর থেকে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ আরও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত। তালিবান সরকার কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার সময় এসব বিবেচনায় নেয়নি। কারা জানি বলছিলো, এবারের তালিবান ভিন্ন? বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার সময় কি এসব বিবেচনায় নেওয়া হয়? সাম্প্রতিক কালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আব্দুস সোবহান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি খোন্দকার নাসিরউদ্দিনসহ অনেকের নানা কেলেঙ্কারিই সরকারের কতোটা সদিচ্ছা আছে তার প্রমাণ বহন করে। এসব নিয়োগই একটি সরকারের ভালো-মন্দের লিটমাস টেস্ট। লেখক : শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়