শিরোনাম
◈ এসএমই মেলা-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ ১১ বছর পর পঞ্চমবার এভারেস্ট জয় করলেন বাংলাদেশের বাবর আলী ◈ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফের বাস্তুচ্যূত ৯ লাখ ফিলিস্তিনি ◈ আরাকান আর্মির শহর দখল, বাড়িঘর জ্বালিয়ে ফের রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন ◈ জাবালিয়া শরণার্থী শিবির গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল, ২৪ ঘন্টায় নিহত ৮৩ ◈ সারাদেশে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা ◈ স্কুলের টয়লেটে আটকা শিশু, ৬ ঘণ্টা পর বের হতে সক্ষম  ◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:০৬ রাত
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ই-কমার্স আইন সংশোধন এবং প্রতারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ চায় সিপিডি

সোহেল রহমান: [২] বিদ্যমান ই-কমার্স আইন ও প্রবিধান সংশোধন এবং প্রতারক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশোধিত আইনের যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে। একই সঙ্গে সরকারকে সমস্যার সমাধান করতে হবে কোম্পানি আইনের আইনি কাঠামোর মাধ্যমে, কোনো প্রতারক কোম্পানিতে জনসাধারণের অর্থ বিনিয়োগ করে নয়।

[৩] শনিবার ‘ই-কমার্স খাতের চ্যালেঞ্জ : সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট ও করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে এসব সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন সংলাপ সঞ্চালন করেন।

[৪] অন্যদিকে সংলাপে অংশগ্রহণকারী ই-কমার্স খাতের সংগঠনের নেতা ও উদ্যোক্তাদের মত হচ্ছে, ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন করে আলাদা আইন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের প্রয়োজন নেই। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বারা এ খাতে নজরদারি জোরদার করা যেতে পারে।

[৫] সংলাপে সিপিডি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে, বেশ কয়েকটি ই-কমার্স ব্যবসার প্রতারণামূলক আচরণের কারণে ই-কমার্স সেক্টর মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এসব ভুয়া ব্যবসার কারণে হাজার হাজার ভোক্তাদের টাকা আছে। সংলাপে ই-কমার্স খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাতটি সুপারিশ করেছে সিপিডি।

[৬] অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছেÑ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা অধিদপ্তর, আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট এবং প্রতিযোগিতা কমিশনের মতো সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিভাগগুলির প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও সমন্বয় বাড়াতে হবে; ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর মতো বেসরকারি সংস্থার নিবন্ধনের আগে নতুন ব্যবসার তথ্য সংগ্রহ, তাদের টেকসইতা এবং এ ব্যবসার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে ব্যবসার সদস্যপদের অনুমতি দেয়া; ই-কমার্স গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত যাতে তারা দায়িত্ব¡শীল আচরণ করে এবং অসাধু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের এই ধরনের ফাঁদে না পড়ে।

[৭] সিপিডি’র চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান সংলাপে বলেন, ই-কমার্স খাতে সুশাসনের মারাত্মক ঘাটতি আছে। যে কারণে গ্রাহকের টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটছে। আর ই-কমার্সের মাধ্যমে প্রথম এ ঘটনা ঘটেনি। এর আগেও বহুবার একই ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু বিচার হয়নি।

[৮] ব্র্যাক ব্যাংক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হুসেন বলেন, সাম্প্রতিক প্রতারণামূলক ই-কমার্স ব্যবসা কিছু লোকের জন্য বিনিয়োগের স্কিমে পরিণত হয়েছে এবং এ বিষয়ে আগেই সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত ছিল। ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।

[৯] সংলাপে অংশ নিয়ে চালডালডটকম-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিম আলিম বলেন, ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও আলাদা কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই। শোনা যাচ্ছে, ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে আলাদা একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করবে সরকার। এটি ইকমার্সকে আরও কঠিন করে ফেলবে। ই-কমার্স খাতের জন্য বিদ্যমান কাঠামো যথেষ্ট এবং একটি নতুন নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজন নেই। সরকারের বিদ্যমান যেসব সংস্থা আছে, তাদের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ালে সেটি আরও বেশি কার্যকর হবে।

[১০] বিডিজবস ডট কম লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলির দ্বারা এই খাতে নজরদারি জোরদার করা যেতে পারে। ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে কঠোরভাবে নিয়মাবলী প্রয়োগ করতে হবে।

[১২] শপ-আপের চীফ অব স্টাফ জিয়াউল হক ভূঁইয়া বলেন, ই-কমার্স ব্যবসার অগ্রিম পেমেন্ট গেটওয়েগুলির মাধ্যমে করা হচ্ছে। অতএব, প্রতিষ্ঠানগুলি পর্যবেক্ষণ করার জন্য লেনদেনের রেকর্ড পাওয়া যায় এবং জালিয়াতির ইঙ্গিতকারী কোন কার্যকলাপ ট্র্যাক করার জন্য এ ধরনের তথ্য ব্যবহার করা উচিত।

[১৩] ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ইতোমধ্যে অনেক ই-কমার্স ব্যবসার ঝুঁকিপূর্ণ মডেলগুলোর বিষয়ে সুপারিশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। গ্রাহকরা কীভাবে তাদের টাকা ফেরত পেতে পারেনÑ তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

[১৪] ব্যারিস্টার তানজিব-উল আলম বলেন, ই-কমার্স খাতের চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য বিদ্যমান আইন ও বিধি যথেষ্ট। কিন্তু এটি হবে সঠিক বাস্তবায়ন ছাড়া কার্যকর হবে না। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়