ইমরুল শাহেদ: গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নেত্রকোনা জেলায় ২০টি সিনেমা হলের মধ্যে ১৯টি বন্ধ হয়ে গেছে আগেই। চালু ছিলো কেবল একটি সিনেমা হল। সেটি 'হীরামন'। দীর্ঘদিন খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলার পর অবশেষে ভেঙে ফেলা হলো জেলার এই একমাত্র হলটিও। ১৯৭০ সালে শহরের কোর্ট স্টেশনের পিছনে ‘হীরামন’ সিনেমা হলটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিলো।
প্রতিষ্ঠার পঞ্চাশ বছরের মাথায় এস হলটি এখন কেবলই স্মৃতি। এভাবে মফস্বল থেকে একের পর এক সিনেমা হল ভেঙ্গে বাণিজ্যিক ভবন তৈরির খবর আসাটা এখন একটা সাধারণ বিষয়। ইতোমধ্যে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রাজমনি সিনেমা হলটিও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সিনেমা হলগুলো ভেঙ্গে নিশ্চিত লাভজনক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টিতে মশগুল রয়েছেন প্রদর্শকরা। পক্ষান্তরে সরকার চেষ্টা করছে চলচ্চিত্র বিনোদনকে উজ্জীবিত করার জন্য।
অনুদানে ছবির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সরকার সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার জন্য আর্থিক সহায়তারও সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেছেন, ব্যাংকের শর্তাবলী ঠিক আছে। কিন্তু সময়টা নিয়ে একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে। সেটাও সেরে যাবে।
তিনি জানান, করোনা মহামারির পর সিনেমা খুলেছে। তবে এর সংখ্যা ৮০ থেকে ৮৫টি। কিন্তু এই সিনেমা হল দিয়েতো আর বড় বাজেটের ছবিগুলোর বিনিয়োগ উঠে আসবে না। আগামী মাস থেকে বড় বাজেটের ছবিগুলো মুক্তি পেতে শুরু করবে। প্রথমেই মুক্তি পাচ্ছে বুবলী-নিরব-রোশান অভিনীত শাপলা মিডিয়ার ‘চোখ’ ছবিটি। এছাড়াও অক্টোবর মাসে মুক্তি পাবে কসাই, ঢাকা ড্রিম, পদ্মপূরাণ, বাজি এবং চন্দ্রাবতী কথা। ডিসেম্বর মাসে ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবির প্রথম পর্ব মুক্তি পাবে। এর মানে বড় বাজেটের নির্মাতারা ছবি মুক্তির জন্য এগিয়ে আসতে শুরু করেছেন। আগামী তিন মাসে হয়তো আরো কিছু বড় বাজেটের ছবি মুক্তি পাবে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মধুমিতা সিনেমা হল খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এখনো কিছু বড় সিনেমা হল খোলার বাকি রয়েছে। তারাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।