আয়াছ রনি: [২] দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের স্থান পরিদর্শন করেছেন রেলপথ মন্ত্রী এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন।
[৩] বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের রামু হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত প্রায় ১৮৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে করোনা মহামারির কারণে সাময়িক ধীরগতি দেখা দিলেও এখন পুনরায় কাজের গতি ফিরে এসেছে। ১৮৮ কিলোমিটার রেললাইনের অবকাঠামো নির্মাণ প্রায় ৫০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো কাজ সম্পন্ন করার আশা করা হচ্ছে।
[৪] মন্ত্রী বলেন, দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইন বদলে দেবে স্থানীয়দের জীবনমান। প্রথমে এই প্রকল্পের ব্যয় ১৮ হাজার কোটি টাকা থাকলেও তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে যাত্রী ওঠা নামার জন্য নির্মাণ করা হবে ৯টি স্টেশন। এসব স্টেশন নির্মাণও চলছে দ্রুতগতিতে। প্রথম পর্যায়ে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০১ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য আরও ৩৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং খুব শীগ্রই ঘুমধুম রেলপথের কাজ শুরু হবে।
[৫] রেলপথ মন্ত্রী বলেন, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রামু হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত প্রায় ১৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৮ সালে এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়ে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। অন্যদিকে এই রেললাইন চালু হলে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আপনার মতামত লিখুন :