শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৪৫ দুপুর
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৪৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বান্দরবান জেলা সদরে নির্মাণ হচ্ছে ৫০০ ফুট দীর্ঘ দৃষ্টি নন্দ টানেল

বাবুল খাঁন : [২] বান্দরবান সড়ক যোগাযোগ সহজ করতে নির্মাণ হচ্ছে ৫০০ ফুট দীর্ঘ একটি টানেল। এই টানেল বর্তমান শহরের বাস স্টেশনের সাথে কেন্দ্রীয় টার্মিনাল (হাফেজঘোনা) সড়ককে সংযোগ করবে। এটি পর্যটন শহর বান্দরবানের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দেবে। পাবত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অথ্যায়নে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই টানেলটির নির্মাণ কাজ চলমান। আর এটি পাবত্য জেলা বান্দরবানের জন্য প্রথম টানেল।

[৩] জানা গেছে, জেলা সদরে বর্তমান বাস স্টেশনের জায়গা কম হওয়ায় পাশেই হাফেজঘোনায় বিশাল এলাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় টার্মিনাল গড়ে তোলা হয়। কিন্তু টার্মিনালে যাওয়ার ওই সড়কের দুই পাশে পাহাড়। আগে উক্ত সড়কটি নির্মাণ হলেও বৃষ্টি হলেই পাহাড় ধসের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া রাস্তাটির দুপাশে পাহাড় থাকায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কেন্দ্রীয় টার্মিনালটি নির্মাণের অনেক বছর পরও সেখানে বাস যায় না। কিন্তু বর্তমান স্টেশনটি খুবই ছোট হওয়ায় দিন দিন বাস বাড়ায় সেখানে স্থান সংকুলান হয় না। ফলে সব সময়ই যানজট ও ভোগান্তি লেগে থাকে। এই দুর্ভোগ ও কেন্দ্রীয় টার্মিনাল চালু করার লক্ষ্যে পাহাড়ি সড়কটিতে টানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।

[৪] পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত বলেন, দুই দফায় মোট ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ ফুট দীর্ঘ এই টানেলটি নির্মাণ করা হবে। প্রথম দফায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে সংশোধন করে টানেলটি ৫০০ ফুট দীর্ঘ করে আরও ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়। টানেলটি নির্মাণ কাজ করছে এম এম ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

[৫] তিনি আরও বলেন, এই টানেলটি কেবল সড়ক যোগাযোগেই নয়, বান্দরবান শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হবে, পর্যটন শহরের গরুত্ব বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। তিনি জানান, বর্তমানে টানেলটির ৬৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। করোনা অবশিষ্ট কাজ আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, টানেল নির্মাণ শেষ হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি মহোদয় এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

[৬] তিনি বলেন, মাননীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতা ও নির্দেশনার কারণে দৃষ্টিনন্দন এই টার্মিনাল নির্মাণ হচ্ছে। পার্বত্যমন্ত্রী সবসময় টানেল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ও খেঁাজখবর নেন। গত বছর টানেল নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর এবং এ বছর নতুন পাবত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চামকা মহোদয় ও এ টানেলটি কাজ পরিদর্শন করেন। মন্ত্রী টানেলটি দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়