সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ২০১৯ সালকে আমরা আমাদের সবচেয়ে খারাপ সময় হিসেবে বিবেচনা করি। কিন্তু চলতি বছর অনেক অপপ্রচার, অপরাজনীতি, কূটকৌশল, বিভিন্ন চক্র থাকা সত্ত্বেও আজ অবধি আমাদের এক হাজার ৫০ জন মশককর্মী ও কাউন্সিল-কর্মকর্কতাদের নিরলস কাজের মাধ্যমে ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।
[৩] একটি স্বার্থান্বেষী মহল কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করেছিল উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, তারা মনে করেছিল আমাদের কীটনাশক-যন্ত্রপাতি নেই। তারা আমাদের বিভিন্ন উপদেশ দিয়েছিল। কিন্তু আমরা যে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছি, সেটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে যথার্থ প্রমাণিত হয়েছে।
[৪] তিনি বলেন, আমরা ডেঙ্গু রোগীদের ঘরে ঘরে গিয়েছি। ২৭ হাজারের মতো আবাসিক স্থাপনা-ভবন পরিদর্শন করেছি। যেখানে লার্ভা পেয়েছি কীটনাশক দিয়েছি। তবে জনগণকে আরো সচেতন হতে হবে।
[৫] বুধবার নিউ মার্কেট এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস একথা বলেন।
[৬] ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ২০১৯ সালে শুধু আগস্ট মাসেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ৫২ হাজারের বেশি মানুষ। সেপ্টেম্বর মাসে হয়েছিল ১৬ হাজারের ঊর্ধ্বে। জুলাই মাসেও ১৬ হাজারের বেশি। সব মিলিয়ে তখন এক লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। তবে এখন আমাদের পরিশ্রমে ১৫ হাজারের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত রাখতে সক্ষম হয়েছি।
[৭] শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, গত পাঁচ দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঠিকানা সংগ্রহ করেছি। ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের ভবনের আশপাশের এলাকায় কীটনাশক ছিটানো হয়েছে। কিছুদিন ধরে ডিএসসিসি এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৪০-এর নিচে নেমেছে। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনেক বড় মনে হয়, কিন্তু আমরা যখন এই তালিকা যাচাই করি, তখন দেখি সেটা আরো কম।
[৮] ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমিয়েছি। আমরা ঘরে ঘরে গিয়েছি। ২৭ হাজারের মত আবাসিক ভবন স্থাপনা পরিদর্শন করেছি ।
[৯] মেয়র বলেন, ঢাকা শহরের ৭৫টি ওয়ার্ডেই আমরা বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র স্থাপন করবো। এটা অত্যন্ত দূরুহ কাজ। কারণ জমির সংকুলন হয় না এবং বিভিন্ন বাঁধা আসে। তারপরও এ কার্যক্রম আমরা সফলতার সাথে সম্পন্ন করে চলেছি। এর মধ্যে আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করছি। অচিরেই ঢাকা শহরকে আধুনিক শহরে রূপান্তরিত হবে।
[১০] পরে মেয়র ২৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থিত ইসলামবাগ ইদগাহ মাঠ, ইসলামবাগ কলোনি মসজিদ, ২১ নম্বর ওয়ার্ডস্থিত বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের গলি, কাপ্তানবাজারের মুরগী পট্টি, ধুপখোলা মাঠের উন্নয়ন কাজ এবং শ্যামপুর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ধুপখোলা মাঠে একটি শিউলি গাছ রোপণ করেন।
[১১] এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও মুন্সি মো. আবুল হাশেমসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :