সুপ্রীতি ধর: বর্তমান বাংলাদেশে সোহেল তাজের অবদান কী? আমি আসলেই জানি না তিনি কী করেছেন দেশের জন্য। নামের পেছন থেকে ‘তাজ’ শব্দটা উঠিয়ে দিলে তার আর থাকে কিছু? বাবার নামটা না থাকলে কেউ তাকে চিনতো কখনও? তারপরও মেনে নিয়েছিলাম এই ভেবে যে জিনবাহিত মেধা কিছুটা থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু সমস্যাটা হলো মাঝেমধ্যে ছাকুনিতে ধরা পড়ে যায় কারও কারও মেধার বহর। যদিও তার ওই এক অভিমান ভরে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনোকিছুই নেই অর্জনের তালিকায়। সেটাও আসলে অর্জন কিনা তা ভাবার অবকাশ আছে।কিছুদিন আগে শুরু করলেন কী সব ইনভেস্টিগেশন। ঠাঁটবাট দেখেই আমরা আবেগে আত্মহারা হয়ে গেলাম। না জানি কী একটা হতে চলেছে দেশে। তারপর কী হলো? রসগোল্লা।
এরপর ফিরে এলেন নিজের জিম নিয়ে, সিক্সপ্যাক নিয়ে। অথচ একটা কথাও কোনোদিন শুনিনি তার মুখ থেকে দেশের চলমান কোনো দুর্নীতি, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নারী ধর্ষণ, নির্যাতন, না কোনোকিছুতেই তিনি নেই। এখন তিনি নিজ স্বরূপে ফিরেছেন। সমাজে একজন নারী যখন একের পর এক রাঘববোয়ালদের আক্রমণের শিকার হচ্ছিলো, তার ওপর অন্যায়, অন্যায্য আচরণ করা হচ্ছিলো তখন তিনি ছিলেন ধ্যানে মগ্ন। মুনিয়াকে যখন হত্যা করা হলো, তখনও তিনি সিক্সপ্যাক বানানোয় ব্যস্ত ছিলেন। যেমনি একটি মেয়ে সমাজের ধরাবাঁধা নিয়মকে তুড়ি মারলো, পুরুষতান্ত্রিক নির্যাতনকে আঙ্গুল দেখালো তখনই তাজ সাহেবের বিবেক জেগে উঠলো, মনে পড়ে গেল এই অভিনেত্রী মেয়েটিরই কেবল সমাজে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে, এই মেয়েটিকেই হতে হবে সুফিয়া কামাল, জাহানারা ইমাম, খালেদা-হাসিনা ব্লা ব্লা ব্লা। কী দুর্যোগ ঘনায়ে এলো জাতির জীবনে। কী নিদারুণ অপচয় একজন তাজউদ্দীন আহমদের সন্তানের।
তাকে কেউ থামতে বলেন এখন। কারণ তাকে ফলো করে কোটি তরুণ প্রজন্ম। তারা ভুল বার্তা পাচ্ছে এসব থেকে, যা কিনা আরও ভয়াবহ। তাকে যারা ফলো করে তারাই বিভিন্ন নিউজের, পোস্টের নিচে এসে মেয়েদের গালিগালাজ করে যায়, এখনও যাচ্ছে, এটা এলার্মিং। এমনকি তার ওই পোস্টের নিচে আমার কমেন্টে যেভাবে তার চ্যালাচামুণ্ডারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং যে ভাষায়, তাতে করে তার নৈতিক অবস্থান নিয়ে আর কোনো দ্বিধাই থাকার কথা না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :