[৩] মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক বরাবর তিনি এ অভিযোগ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।
[৪] অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দেড় বছর আগে এক খন্ড জমি চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খারিজ করতে উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মরিয়ম বেগমের কাছে যান জয়নাল আবেদীন নামের ঐ রিকশাচালক। জমির পরিমাণ ৯ শতক, যার এসএ দাগ নং-১৩৪৪, বিআরএস দাগ নং-৩৩০৫ মৌজা চর হরিপুর, ময়মনসিংহ সদর।
[৫] কাগজপত্র দেখে মরিয়ম বেগম উক্ত ভূমি নামজারি ও খারিজ বাবদ তার কাছে প্রথমে ৭ হাজার টাকা দাবী করেন এবং বলেন টাকা না দিলে জমি খারিজ হবে না। পরে তাকে ৭ হাজার টাকা দেয়া হয়।
[৬] রিকশাচালক অভিযোগে আরো বলেন, তাকে ৩ মাস ঘুরিয়ে ঐ ভূমি কর্মকর্তা জানান এই জমিতে সমস্যা আছে। খারিজ করতে আরো ১৫ হাজার টাকা লাগবে। পরে নিরূপায় হয়ে ঐ নারী কর্মকর্তাকে ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তারপরও তিনি জমি খারিজ না করে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন।
[৭] ১৫ হাজার টাকা দেয়ার প্রায় ১০ মাস পর জয়নাল আবেদীনকে একটি নামজারীর পর্চা দেন। সেই সাথে ডিসিআর বাবদ আরো ১ হাজার টাকা নেন মরিয়ম বেগম। পরবর্তীতে হোল্ডিং দেখে জয়নাল জানতে পারেন সেখানে তার কোন জমি নাই, জমি আরেক জনের নামে খারিজ করে দেয়া হয়েছে।
[৮] পরে রিকশাচালক মরিয়ম এর কাছে ঘুষের টাকা ফেরত চাইলে তিনি বলেন, কোন টাকা ফেরত দেয়া যাবে না। খারিজ ভুল হোক আর শুদ্ধ হোক এটাই নিতে হবে।
[৯] পরবর্তীতে ২০ সেপ্টেম্বর মরিয়ম বেগমের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি আরো ১৫০০ টাকা দাবি করেন খাজনার চেক কাটার জন্য। পরে তাকে ১৩০০ টাকা দেয়া হয়। কিন্তু কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায় নামজারিটি ভুল।
[১০] জানতে চাইলে রিকশাচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি গরিব মানুষ, কষ্ট করে রিকশা চালিয়ে দফায় দফায় মরিয়ম ম্যাডামকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু তিনি কাজ না করে প্রতারণা করেছেন। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।
[১১] এছাড়াও ঐ নারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ময়মনসিংহের বিভিন্ন জায়গায় তথ্য গোপন করে কোটি কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সম্পত্তি নিজ পরিবারের নামে লিজ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ।
[১২] জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিব। এ ব্যাপারে মরিয়ম বেগমের সাথে যোগাযোগের জন্য তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।