শিরোনাম
◈ রাতে বাংলামোটরে জুলাই পদযাত্রার গাড়িতে ককটেল হামলা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবেলায় বাংলাদেশের চার দফা কৌশল ◈ বিআরটিএর মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা ◈ সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ হার‌লো ৭৭ রা‌নে ◈ ২০ বছরেও অধরা এমআই-৬'র ভেতরের রুশ গুপ্তচর! (ভিডিও) ◈ নারী ফুটবলের এই অর্জন গোটা জাতির জন্য গর্বের: প্রধান উপদেষ্টা ◈ প্রবাসীদের জন্য স্বস্তি: নতুন ব্যাগেজ রুলে মোবাইল ও স্বর্ণ আনার সুবিধা বাড়লো ◈ একযোগে ৩৩ ডেপুটি জেলারকে বদলি ◈ 'মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকেরা ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে' (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:৫৪ রাত
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:৫৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাহবুব আরিফ: রাজনৈতিক প্রেম কাঁঠালের আঠা, হায়রে লাগলে ছাড়ে না!

মাহবুব আরিফ: রাজনৈতিক প্রেম যে কাঁঠালের আঠা, হায়রে লাগলে পরে ছাড়ে না। জি হ্যাঁ এই প্রেমকে পাকাপোক্ত করতে চাই ভালো জাতের কাঁঠাল গাছ। জনগণ এখন রাজনৈতিক প্রেমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হলেও নির্বাচনের মাঠে এই প্রেমের গতি কখনোই থেমে নেই। গত ১৯৮১ সালের ৩০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন স্বৈরাচারী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এরশাদ। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেন জাতীয় পার্টি। ১৯৮৬ সালে এরশাদের পাতানো নির্বাচনে বিএনপিকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত একসঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলো এবং যথারীতি সংসদেও যোগ দিয়েছিলো। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সরকার গঠনে জামায়াত বিএনপিকে সমর্থন দিলে আওয়ামী লীগ ক্ষুব্ধ হন জামায়াতের ওপর কিন্তু খেলা সেখানেই শেষ নয়, সে সময় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের মধুর সম্পর্ক দেখা যায়।

আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোলাম আযমকে তসবিহ, জায়নামাজ ও কোরআন শরীফ উপহার দিয়ে দোয়া নেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪ শেখ হাসিনা সংসদের সব বিরোধী দল ও গ্রুপের সঙ্গে যৌথ বৈঠক করে। সে সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যৌথ আন্দোলন করতে তারা ঐক্যমতে পৌঁছান।

২৭ জুন ১৯৯৪, জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করে যৌথ আন্দোলনের ঘোষণা দেয়, শুধু আওয়ামী লীগ নয় মহাজোটের অনেক নেতাদের সঙ্গেও ছিলো জামাতের তেঁতুল সম্পর্ক। পরবর্তী সময়ে ভালো জাতের কাঁঠালের আঠা না থাকার কারণে জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক ছিন্ন হতে থাকে। এবার আসা যাক স্বৈরশাসক এরশাদের তৈরি জাপা দলটি কীভাবে সরকারি সুবিধা ভোগ করে রাতের অন্ধকারে দেশের বিভিন্ন নির্বাচনে তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিতে থাকে, তবে রাজনীতিতে টাকার খেলা? ‘মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার পরই যাপার প্রার্থীরা গা ঢাকা দেন।

তাদের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও তাদের খুঁজে পান না। যাপার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে যাপার প্রার্থী ভোটের মাঠ থেকে সরে যান এমন আলোচনা মানুষের মধ্যে রয়েছে। সূত্র- প্রথম আলো পত্রিকা। বিএনপি কখনোই দেশের স্বার্থে জোট তৈরি করেনি, কারণ জামায়াতের মতো একটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেতনার বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির নেতৃত্বে জোট তৈরি করেছিলো, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মতো দলগুলোও জোটে অংশ নিয়েছিলো। এ খেলা চলছে নিরন্তর। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়