মাসুদ মিয়া : [২] দেশের শেয়ারবাজার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর পাশাপশি লেনদেনও। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইতে লেনদেন ২ হাজার কোটি টাকার উপরে হয়েছে।
[৩] এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে মতভিন্নতার খবর প্রকাশে গত সপ্তাহের পুরোটাই পুঁজিবাজারে টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সূচক কমেছিল দুই দিন আর বেড়েছিল তিন দিন। এই তিন দিন বৃদ্ধিতে মূল ভূমিকায় ছিল বহুজাতিক ও বড় মূলধনি কোম্পানি।
[৪] তবে নতুন সপ্তাহে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে, এমন আশা নিয়ে গতকাল লেনদেনের শুরুতেই সূচক বেড়ে যায় ২৮ পয়েন্ট। কিন্তু এই অগ্রগতি ধরে রাখা যায়নি ১৫ মিনিটও। তবে ওঠানামা করতে করতে দুপুর ১২টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত সূচক ইতিবাচকই ছিল। সে সময় আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট বেশি সূচকে চলছিল লেনদেন। কিন্তু সেখান থেকে ৪২ পয়েন্ট হারিয়ে লেনদেন শেষ হয়। এদিন তথ্যপ্রযুক্তি ও বীমা খাতের শেয়ারধারীরাই কিছুটা স্বস্তিতে ছিল পতনের এই দিনটিতে। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড, খাদ্য, প্রকৌশল, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত।
[৫] দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১০৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪৪টির। আর ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
[৬] বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের কারণে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৬ পয়েন্ট কমে সাত হাজার ১৯১ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরিয়াহ্ ১০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৫৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৬৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
[৭] সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৩৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় দুই হাজার ১৬৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
[৮] টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৬৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৯ কোটি এক লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা।
[৯] এছাড়াও ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সাইফ পাওয়ার টেক, আলিফ মেনুফ্যাকচারিং, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, ইসলামিক ফাইন্যান্স, অ্যাক্টিভ ফাইন ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো।
[১০] অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৫৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৩টির ও ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও