লিহান লিমা: [২] ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, স্তন ক্যান্সারের নতুন ওষুধ এনহের্টু বিদ্যমান চিকিৎসার তুলনায় মৃত্যু বা রোগ বৃদ্ধির ঝুঁকি ৭২ শতাংশ কমিয়ে দেয়। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট
[৩] ট্রান্সজুমাব এমটানসাইন (টি-ডিএম১) দিয়ে চিকিৎসা করা ৩৪.১ শতাংশের তুলনায় এনহের্টু প্রয়োগ করা তিন-চতুর্থাংশ রোগী ১২ মাস পর তাদের রোগের আর কোনো অগ্রগতি দেখেনি। ফলে বেঁচে থাকার অবস্থা ৭.২ মাস থেকে ২৫.১ মাসে উন্নীত হয়েছে।
[৪] টি-ডিএম১ রোগীদের ৮৫.৯ শতাংশের তুলনায় প্রায় সব এনহের্টু চিকিৎসা নেয়া রোগী ১২ মাস (৯৪.১ শতাংশ) বেঁচে ছিলেন। তৃতীয় পর্যায়ের এই পরীক্ষায় এনহের্টুর কার্যকারীতা ট্রাস্টজুমাব এমটানসাইনের (এইচইআর ২ পজেটিভি মেটাস্ট্যাটিক স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত) সঙ্গে তুলনা করে দেখা হয়। এই পরীক্ষায় এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, ওশেনিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় ৫’শ রোগীকে অন্তর্ভূক্ত করানো হয়।
[৫] জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ওষুধ কোম্পানি দাইচি সাঁকিও এর আরএন্ডটি বিভাগের প্রধান কেন টাকেশিতা বলেন, ‘এইচইআর-২ পজিটিভ মেটাস্ট্যাটিক স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আরো কার্যকর চিকিৎসার বিকল্প হিসেবে এনহার্টুকে নিয়ে আসা যায় কি না তা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যগুলো আলোচনা করা হবে।’ ব্রেস্ট ক্যান্সার নাউ চ্যারিটি এই পরীক্ষার ফলাফলকে ‘অবিশ্বাস্যভাবে আশাব্যাঞ্জক’ বলে স্বাগত জানায়।
[৬] যুক্তরাজ্যে গত চার দশকে স্তন ক্যান্সারে বেঁচে যাওয়ার হার দ্বিগুণ হলেও এখনো প্রতিবছর প্রায় ১১ হাজার ৫০০ নারী এবং ৮৫ জন পুরুষ এই রোগে মারা যান।
আপনার মতামত লিখুন :