সালেহ্ বিপ্লব: [২] জেলার কেশবপুর উপজেলার বিল খুকশিয়ায় মাছের ঘেরের বেড়িতে তরমুজ চাল করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক। মাছের পাশাপাশি তরমুজ চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে অনেক চাষি লাভবান হয়েছেন। বাসস
[৩] কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবারই প্রথমবারের মত মাছের ঘেরের বেড়িতে তরমুজের আবাদ করা হয়েছে। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে এ তরমুজ। অনেক কৃষক নতুন করে এ আবাদে ঝুঁকছেন। কৃষি কর্মকর্তারা তরমুজ আবাদ পরিদর্শন করে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছেন।
[৪] কেশবপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে শ্রীহরি নদীর তীরে অবস্থিত বিল খুকশিয়া। এ বিলের ৬ হাজার ৩৭৫ বিঘা ফসলি জমি দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর যাবত জলাবদ্ধ থাকায় কৃষকেরা ঠিকমত ফসল ফলাতে পারতেন না। ২০০৫ সালে বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন করে ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। শ্রীহরি নদীতে নাব্য ফিরিয়ে আনতে এবং বিল খুকশিয়ার তলদেশ উঁচু করার জন্য জোয়ার-আঁধার টিআরএম প্রকল্প গ্রহণ করে।
[৫] কৃষকরা বিলটিতে মাছের ঘের তৈরি করেন এবং মাছের ঘেরের বেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ শুরু করেন। বিল খুকশিয়ায় বেশির ভাগ ঘেরের বেড়িতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে।
[৬] কৃষক আব্দুল কুদ্দুস জানান, তিনি ৭ বিঘা জমির ঘেরের পাড়ে মান্দা তৈরি করে তরমুজ চাষ করেন। ভালো ফলনও পেয়েছেন।
[৭] চাষি মহসিন উদ্দিন বলেন, তিনি ১৩ বিঘা মাছের ঘেরের বেড়িতে ১ হাজার ৪০০টি তরমুজের মান্দা তৈরি করে ইতোমধ্যে ফলন পেয়েছেন ২৭৫ মণ। তিনি প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ২০০ টাকা করে বিক্রি করছেন। সর্বোচ্চ ১২ কেজি ওজনের তরমুজ পেয়েছেন তিনি।
[৮] কাকবাঁধাল গ্রামের আব্দুল হালিম বলেন, তিনি ১২০টি মান্দা তৈরি করে তরমুজের চাষ করেছেন।উৎপাদিত তরমুজ ট্রাকে করে নিয়ে সাভারের আশুলিয়ায় পাইকারি বিক্রি করে থাকি।
[৯] চাষিরা জানান, এ সময়ে তরমুজ চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে তারা লাভবান হচ্ছেন। উৎপাদিত তরমুজ যশোর, কালীগঞ্জ, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
[১০] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, কানাইডাঙ্গা,কাকবাঁধাল ও ডহুরী গ্রামের এ বিলে এবছর প্রায় ২শ চাষি তরমুজ চাষ করেছেন। তরমুজ ন্যায্যমূল্যে বিক্রির জন্য সাভারের আশুলিয়ায় মার্কেটিংয়ের ব্যাপারে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে।
[১১] কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, যশোরের উপ-পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, চাষিরা বর্তমান সময়ে ভালো দাম পেয়ে খুশি। উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যশোর জেলা শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।