শেখ রোকন: ‘ভ্যালি’ বা উপত্যকা হলো দুই বা ততোধিক পাহাড়ের মধ্যবর্তী সমতলভূমি। মোহাম্মদ রাসেল তার ই-ভ্যালির চারপাশেও বেশকিছু প্রতীকী পাহাড় খাড়া করেছিলেন। বড় বড় সংবাদমাধ্যমকে বিজ্ঞাপনে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। কথিত ‘সেলিব্রেটি’ লোকজনকে মোটা বেতনে বিনা কাজের চাকরি দিয়েছিলেন। এমনকি একটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ‘ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ প্রযোজিত চলচ্চিত্র নির্মাণে ‘পৃষ্ঠপোষকতা’ দিয়েছিলেন। এসব প্রকাশ্য; অপ্রকাশ্যে আরও কতো ঘাটে তিনি জল খাইয়েছেন কে জানে!
রাসেল ভেবেছিলেন, ই-ভ্যালির বাটপারি ব্যবসায় প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য এসব ‘পাহাড়’ সুরক্ষা দেবে। সেই ভরসায় ‘মাগনা পেলে আলকাতরা খায়’ বাঙালি গ্রাহকের লাইন লাগিয়েছিলেন। বিলম্বে হলেও তার জারিজুরি ধরা পড়েছে। তিনি ধরা খাওয়ার পর পাহাড়গুলো ‘যথারীতি’ এগিয়ে আসেনি। এখন, প্রতারিত গ্রাহকদের কী হবে?
গ্রাহকের টাকা মেরে দিয়ে মোহাম্মদ রাসেল কোথায় কোথায় ঢেলেছেন, তদন্ত ও অনুসন্ধান করা হোক। এসব অর্থ ফিরিয়ে এনে ই-ভ্যালি পুর্নগঠন করা যেতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের সবাই হবে এর শেয়ারহোল্ডার। আর পুর্নগঠিত কোম্পানির নাম হতে পারে ‘ই-মেসোপটেমিয়া’। মেসোপটমিয়া বা ‘দোয়াব’ মানে দুই বা ততোধিক নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল। উপযুক্ত ব্যবস্থাপনায় নতুন কোম্পানি দোয়াবের মতোই সুজলা-সুফলা হতে পারে। ফেসবুক থেকে