শিরোনাম
◈ বেনাপোল বন্দরে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ ভারতীয় ট্রাকচালক আটক ◈ ভারত- ইংল‌্যান্ড টেস্ট সি‌রি‌জে বাংলা‌দে‌শের  সৈকতের আম্পায়ারিং বিতর্ক ◈ প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, অ্যাসিড নিক্ষেপে শিশুসহ দগ্ধ ৩ ◈ বাংলাসহ বিশ্বের ৩৫ ভাষায় শোনা যাবে মক্কার জুমার খুতবা ◈ শাজাহানপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ কনষ্টেবলকে গণধোলাই  ◈ বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন হুমকির মুখে: শিল্প, বিষ, পর্যটন ও জলবায়ুর প্রভাবে বিপন্ন জীববৈচিত্র্য ◈ উচ্ছেদের ৪৫ দিনের মাথায় ফের গজিয়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা: বাগেরহাটে সড়কপথে আবারও বিশৃঙ্খলা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইটে ধস্তাধস্তির ভিডিও ভাইরাল, ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক গ্রেপ্তার ◈ মুরাদনগরে নিখোঁজের একদিন পর বড় ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার, মাটিচাপা অবস্থায় মিলল ছোট ভাইয়ের ঘরে ◈ ইরান কেন আমেরিকার কাছে নতিস্বীকার করে না: তাস‌নিম নিউজ এজ‌ন্সির প্রতি‌বেদন

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৪:৫১ দুপুর
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৬:৪০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ৭ বছরের চেষ্টাতেও নিস্পত্তি হয়নি ভারতের উপকূলীয় বেসলাইন, সমাধানে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে চিঠি

আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে মহাসচিবের কাছে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে এরই মধ্যে ওই চিঠিটি আপলোড করা হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর লেখা চিঠিতে বাংলাদেশ জানিয়েছে, এ বছরের এপ্রিলে ভারত তাদের আপত্তিতে জানিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের যে ভিত্তিরেখার ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহীসোপান নির্ধারণ করেছে, তা ভারতের মহীসোপানের একটি অংশ। তাই ভারত বাংলাদেশের দাবিকে বিবেচনায় না নেওয়ার অনুরোধ জানায়। এরপর বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেয়, যে বিষয়টি দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছিলো, সেটি জাতিসংঘকে জানাবে।

[৩] চিঠিতে বাংলাদেশ বলেছে, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালত যে রায় দিয়েছেন, তা অনুসরণ করেই মহীসোপানের দাবি নির্ধারণ করেছে ঢাকা। সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলোর স্থলভাগের বেসলাইন বা ভিত্তিরেখা থেকে লম্বালম্বিভাবে সমুদ্রের সাড়ে তিন শ মাইল এলাকাকে সংশ্লিষ্ট দেশের মহীসোপান বলা হয়। এর মধ্যে ২০০ মাইল পর্যন্ত এলাকার মালিকানা সম্পূর্ণ ওই দেশের। সেখানে অন্য কোনো দেশ মাছ ধরতে পারে না এবং খনিজ সম্পদের দাবি করতে পারে না। এই ২০০ মাইলের পর ১৫০ মাইল পর্যন্ত সীমায় সমুদ্রের তলদেশে খনিজ সম্পদের মালিক ওই দেশ, তবে মাছ ধরতে পারে সব দেশ।

[৪] নিজের সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য ভারত ২০০৯ সালের মে মাসে উপকূলীয় একটি ভিত্তিরেখা বা বেসলাইন ব্যবহার করে আসছে। ওই ভিত্তিরেখার বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ২০০৯ সালের অক্টোবরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। তাতে ভারতের ওই ভিত্তিরেখার একটি অংশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকায় তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ভুলটি সংশোধনের অনুরোধ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ বিষয়টি জাতিসংঘ এবং সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে জানায়নি। কিন্তু এখন বাংলাদেশ পরিষ্কারভাবে ভারতের এ অবস্থানের বিরোধিতা করছে। ভারত বিষয়টি সুরাহা না করে জাতিসংঘকে অবহিত না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ এ বিরোধিতা করতে থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়