শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৪:৫১ দুপুর
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৬:৪০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ৭ বছরের চেষ্টাতেও নিস্পত্তি হয়নি ভারতের উপকূলীয় বেসলাইন, সমাধানে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে চিঠি

আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে মহাসচিবের কাছে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে এরই মধ্যে ওই চিঠিটি আপলোড করা হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর লেখা চিঠিতে বাংলাদেশ জানিয়েছে, এ বছরের এপ্রিলে ভারত তাদের আপত্তিতে জানিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের যে ভিত্তিরেখার ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহীসোপান নির্ধারণ করেছে, তা ভারতের মহীসোপানের একটি অংশ। তাই ভারত বাংলাদেশের দাবিকে বিবেচনায় না নেওয়ার অনুরোধ জানায়। এরপর বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেয়, যে বিষয়টি দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছিলো, সেটি জাতিসংঘকে জানাবে।

[৩] চিঠিতে বাংলাদেশ বলেছে, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালত যে রায় দিয়েছেন, তা অনুসরণ করেই মহীসোপানের দাবি নির্ধারণ করেছে ঢাকা। সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলোর স্থলভাগের বেসলাইন বা ভিত্তিরেখা থেকে লম্বালম্বিভাবে সমুদ্রের সাড়ে তিন শ মাইল এলাকাকে সংশ্লিষ্ট দেশের মহীসোপান বলা হয়। এর মধ্যে ২০০ মাইল পর্যন্ত এলাকার মালিকানা সম্পূর্ণ ওই দেশের। সেখানে অন্য কোনো দেশ মাছ ধরতে পারে না এবং খনিজ সম্পদের দাবি করতে পারে না। এই ২০০ মাইলের পর ১৫০ মাইল পর্যন্ত সীমায় সমুদ্রের তলদেশে খনিজ সম্পদের মালিক ওই দেশ, তবে মাছ ধরতে পারে সব দেশ।

[৪] নিজের সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য ভারত ২০০৯ সালের মে মাসে উপকূলীয় একটি ভিত্তিরেখা বা বেসলাইন ব্যবহার করে আসছে। ওই ভিত্তিরেখার বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ২০০৯ সালের অক্টোবরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। তাতে ভারতের ওই ভিত্তিরেখার একটি অংশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকায় তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ভুলটি সংশোধনের অনুরোধ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ বিষয়টি জাতিসংঘ এবং সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে জানায়নি। কিন্তু এখন বাংলাদেশ পরিষ্কারভাবে ভারতের এ অবস্থানের বিরোধিতা করছে। ভারত বিষয়টি সুরাহা না করে জাতিসংঘকে অবহিত না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ এ বিরোধিতা করতে থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়